Showing posts with label কবিতা. Show all posts
Showing posts with label কবিতা. Show all posts

তুমি চলে যাবে বলতেই

তুমি চলে যাবে বলতেই
---যদুবংশ ধ্বংসের আগে
তুমি চলে যাবে বলতেই বুকের মধ্যে
পাড় ভাঙার শব্দ শুনি-
উঠে দাঁড়াতেই দুপুরের খুব গরম হাওয়া বয়,
মার্সির কাঁচ ভাঙতে শুরু করে;
দরোজা থেকে যখন এক পা বাড়াও আমি
দুই চোখে কিছুই দেখি না-
এর নাম তোমার বিদায়, আচ্ছা আসি, শুভরাত্রি,
খোদা হাফেজ।
তোমাকে আরেকটু বসতে বললেই তুমি যখন
মাথা নেড়ে না, না বলো
সঙ্গে সঙ্গে সব মাধবীলতার ঝোপ ভেঙে পড়ে;
তুমি চলে যাওয়ার জন্যে যখন সিঁড়ি দিয়ে নামতে থাকো
তৎক্ষণাৎ পৃথিবীর আরো কিছু বনাঞ্চল উজাড়
হয়ে যায়,
তুমি উঠোন পেরুলে আমি কেবল শূন্যতা শূন্যতা
ছাড়া আর কিছুই দেখি না
আমার প্রিয় গ্রন্থগুলির সব পৃষ্ঠা কালো কালিতে ঢেকে যায়।
অথচ চোখের আড়াল অর্থ কতোটুকু যাওয়া,
কতোদূর যাওয়া- হয়তো নীলক্ষেত থেক বনানী, ঢাকা থেকে ফ্রাঙ্কফুর্ট
তবু তুমি চলে যাবে বলতেই বুকের মধ্যে মোচড় দিয়ে ওঠে
সেই থেকে অবিরাম কেবল পাড় ভাঙার শব্দ শুনি
পাতা ঝরার শব্দ শুনি-
আর কিছুই শুনি না।

তোমাকে ভুলতে গিয়ে

তোমাকে ভুলতে গিয়ে 

তোমাকে ভুলতে গিয়ে
সাগরের জল আসড়ে পরে চোখে
পাথরের টুকরো এসে লাগে বুকে
মরুভূমির বালি এসে লাগে গায়ে।

তোমাকে ভুলতে গিয়ে
বজ্রপাত এসে পরে মাথার উপরে
সুনামির তিব্র আঘাত লাগে হৃদয়ে
সাগর তীরের চোড়াবালি আকড়ে ধরে পায়ে
বৃষ্টির শীতল পানি গলায় ঠেকে ।

তোমাকে ভুলতে গিয়ে
পথ চলার মাঝে কাটা বিধে পায়ে
তীরন্দাজের তীর এসে লাগে বুকে
মেঘ আচ্ছন্ন করে রাখে আকাশে।

তোমাকে ভুলতে গিয়ে
ভোরের শিশির কনা শুকিয়ে যায় বাতাসে
জোনাকিরা পাখা বন্ধ করে থাকে
বৃষ্টি ঝড়েনা পৃথিবীর বুক।

তোমাকে ভুলতে গিয়ে
কোকিল গান গায় না কুহু কুহু করে
সন্ধ্যা বেলা পাখি ফিরে না তার নীড়ে
রাখাল গরু নিয়ে ফিরে না ঘরে ।

তোমাকে ভুলতে গিয়ে
বসন্ত দেয় না দোলা হৃদয়ে
বাঁশিওয়ালার বাঁশির সুর লাগে না কানে
শিশির স্পর্শ করে না গায়ে।

তোমাকে ভুলতে গিয়ে
বেশি বেশি মনে পড়ে তোমাকে
চলে আস তুমি আরও কাছে
চোখের সামনে শুধু তোমারই
স্মৃতি ভাষে।
____ রেদোয়ান মাসুদ

আমায় মৃত্যু দে

আমায় মৃত্যু দে


আর কিছুনা শুধু ওই ঠোঁটটা আমাকে দে
তোর সময় আর সময়ের ফাঁকে থাকা
টুকরো মুহুর্তটা আমায় দে।
আর যদি কিছু নিতে হয়  তবে আমার তৃষ্ণা নে
আর যদি ইচ্ছে করে
তবে আমায় ভিজিয়ে দে।

কৃষ্ণচুড়ার মুকুটে লেগে লাল রক্ত
বিছানায় পাতা শুকনো ফুলগুলো
আমি তো আছি তোর রক্তে।
শুধু সময় রয়েছে পরে শিরায় উপশিরায়
পথের উপরে এঁকেবেঁকে এক নদী
এক ইচ্ছা সারা শরীরে।

কোনো এক সমুদ্র প্রান্তরে দাঁড়িয়ে
চিত্কার করি তোর নাম মুখে।
আরো জোরে গলা চিরে যায়
রক্ত বেরোয় ,বদ রক্ত প্রেমের।
তবুও ,তবুও  শান্তি নেই
আরো গভীরে তোমায় চাই।

আর কিছুনা শুধু একটা শান্তি দে
গোলাপের পাতা স্বপ্নে কাঁটা ফোঁটে।
কিছুটা অলক্ষ্যে কেটে যাওয়া সময়
চলে যায় তোর সাথে।
কিছু মুহূর্ত হাতছানি দেয় ক্লান্ত চোখে
একটু সময় আমায় মৃত্যু দে।

অামি নেই তো কি হয়েছে

অামি নেই তো কি হয়েছে


আমি নেই তো কি হয়েছে,
এখনও তো আগেরই মতই
সবকিছু তোমার নিয়মমাফিক,
তোমার উঠানে এখনো আগের মতোই
রোদ উঠে, বর্ষা আসে, হেমন্ত, বসন্ত,
শরতের শুভ্রতা,
আমি জানি তোমাকে স্পর্শ করেনা
আমার শূণ্যতা।
আমি নেই তো কি হয়েছে ।

তোমার তো কোন কিছুই হারায়নি
হৃদয় নড়ে উঠেনি,
আমি জানি স্মৃতি পোড়ানোর
বেদনা তোমার নেই,
তোমার জীবনে এখনো আসে
সময়ের সব প্রয়োজন,
তোমার জীবনে অষ্টপ্রহর
বর্ণীল আয়োজন।
আমি নেই তো কি হয়েছে ।

আমি তো ছিলাম তোমার কাছে
মূল্যহীনের মতো,
তোমার জীবনে এখনো আসে
পূর্ণিমা, জোছনা, শরতের
তারা ভরা আকাশ,
আমি জানি তোমার হৃদয় ছোঁবেনা
আমার ব্যাকুল দীর্ঘশ্বাস।
আমি নেই তো কি হয়েছে ।

* আর ভালবাসবোনা*

* আর ভালবাসবোনা*

তোমাকে কষ্ট দিয়ে,
দুঃখের সমুদ্র নিয়ে,
জানি আমিও সুখে থাকবোনা।
তবু তোমাকে আর ভালবাসবোনা।।
মাঝরাতে ঘুমভেঙে,
দুচোখে স্বপ্ন মেখে,
তোমাকে আর কাছে ডাকবোনা,
তোমাকে পাশে না পেয়ে,
নীরব অভিমানে আর কাঁদবোনা,
তাই তোমাকে আর ভালবাসবোনা।।
তুমি তো আগেই ভালো ছিলে,
অনেক সুখে ছিলে,
আমাকে জড়িয়ে জীবনে,
কেন দুঃখে ভেসে গেলে?
আমিও আর ডাকবোনা,
হয়তো তোমার থাকবো না,
কারো মনের ব্যাথা আর বাড়াবো না।
তাই আর ভালবাসবোনা।।
যে প্রেম সর্বনাশা,
বাড়াই মনের আশা,
শুধুই আভিমানের কষ্টে ভাসা,
আমি আর তাকে চাই না চাই না,
তাই তোমাকে আর ভালবাসবোনা।।
মনের ক্যানভাসে, নতুন স্বপ্নছবি আর আঁকবোনা।
ফারহানা হৃদয়িনী

কোন এক ভালোবাসা দিবসে


কোন এক ভালোবাসা দিবসে
 Lovesick Psycho
------------------------------------
কোন এক ভালোবাসা দিবসে
তোমার সাথে দেখা হবে আমার
একগুচ্ছ গোলাপ হাতে আসবে তুমি
তোমার দু'চোখ জুড়ে প্রতিক্ষার উষ্ণ অভ্যর্থনা
আমার অপেক্ষায় অধীর থাকবে।
তোমার চাতক চোখ খুঁজবে আমায় এদিক সেদিক
একসময় ক্লান্ত হয়ে স্থির হবে গোলাপে।
তারপর আমি আসবো,
স্বভাবসিদ্ধ উসকোখুসকো চুলে,
তিন-চারদিনের ঘামেভেজা টিশার্ট
চাপিয়ে হন্তদন্ত হয়ে।
কিছু অভিমানী মুহূর্ত শেষে
তুমি হাসবে সেই হাসি,
যে হাসিতে আমি অনুরাগের ছোঁয়া পাবো।
তারপর খুনসুটি
কার ভালোবাসা কতো খাঁটি
কে ঠিক, কে ভুল, কতো অনুযোগ —
আমি হেরে যাবো জেনেও
হারতে চাইবো না যেন;
তোমাকে রাগানোর নেশায় বুঁদ হবো।
হঠাৎ তোমার গোলাপের কথা মনে পড়বে,
মনে পড়বে আমার খালি হাতে আসার কথা
অভিমান করে তুমি চলে যেতে চাইবে।
অথচ তুমি জানতেও পারবে না, কোন এক
ভালোবাসা দিবসে
আমি এই "আমার আমি"কেই
তুলে দিতে চেয়েছি তোমার হাতে।

ফিরে আসে বারবার

ফিরে আসে বারবার
গতকাল যা ছিল ভালোবাসা
আজ তা বেদনার আকাশে
বিষাদের ঝড়ো মেঘের বজ্র বৃষ্টি
ফিরে আসে প্রিয় মুহূর্তরা বার বার
তোমার শূন্যতায় আমার আকাশে সূর্য গ্রহণ।

আমার কষ্টগুলো
আমার আকাশের চাঁদের মতো
আমার পিছু ছাড়ে না আমার দুঃখ গুলো
আমার শরীরের ছায়ার মতো
আমাকে একাকী থাকতে দেয় না
আমার বর্তমান অতীত হয়
তবু আমি আমার অতীত থেকে
ভবিষ্যতে পালিয়ে বাঁচতে পারি না।

ভালোবাসা তার রঙ বদলিয়ে
বেদনার নীল আকাশে মেঘের ডানায়
পাল তুলে ফিরে আসে মুহূর্তরা বার বার
ধুলো জমা কবিতার পাতায় পাতায়
তবু কোন স্বপ্নের সোনালি ফ্রেমে
ভালোবাসা বাঁধাতো গেলো না।

তুমি যদি ভালবাসতে না পারো


তুমি যদি ভালবাসতে না পারো
তবে ভুলে যাও এই আমায়;
আমাকে ভুলে যেতে বলো না কখনো।

তবুও ভালবাসি তোমায়...
বারে বারে ফিরে ফিরে ভালবাসি তোমাকে।
তুমি যদি কাছে আসতে না পারো
তবে দূরে থেকো সেই ভালো;
আমাকে দূরে থাকতে বলো না কখনো।

তবুও কাছে আসি আমি
তোমার অজান্তেই কাছে আসি।
তুমি যদি মনে রাখতে না পারো
তবে মনে রেখো না আমায়;
আমাকে ভুলে যেতে বলো না কখনো।

তবুও মনে রাখি তোমায়
হৃদয়ের মণিকোঠায় রেখে দিই তোমারই নাম...

ক্ষমা

                       "ক্ষমা"

তোমাকে আমি ক্ষমা করে দিয়েছিলাম অনেক আগেই
যেদিন তুমি আমার হৃদয়টাকে টুকরো টুকরো করে
রঙীন স্বপ্নগুলোকে রঙহীন করে দিয়ে
করেছিলে আমায় নিঃস্ব
সেদিনই তোমার সব অপরাধ আমি ভুলে গেছি।

কিন্তু তারপরও কি তুমি ভাল আছ?
একটি দিনের জন্যও আমাকে ভুলে থাকতে পারছ?
রঙীন দিনের যত স্বপ্ন দেখিয়ে ছিলে তুমি আমায়
খানিকটা হলেও কি আজ সেই স্বপ্নগুলো
তোমার মনের মনিকোঠায় আঘাত করেনা?

গোধুলীবেলার অস্তমিত সূর্যের মত
যেদিন আমার জীবন থেকে ঝড়ে গেল স্বপ্নগুলো
সেদিনই তোমায় আমি ক্ষমা করে দিয়েছি
তারপরও কি তুমি ভালো আছ?

এখন আর তোমাকে চাইনা

★অকাল বৈধব্য★

এখন আর তোমাকে চাইনা,
বলো কি হবে আর তোমায় চেয়ে?
এখন শুধুই বুকের মাঝে শূণ্যতা হাহাকার আর দুচোখে অশ্রু আমার,
তোমাকে দেবার আর কিছু নেই,
এখন শুধুই ঝরবে দু চোখে অশ্রুধারা,
আমি দিশাহীন হবো শুধুই পাগলপারা।
সত্যি যদি আমার জন্য কখনো আসতে এমন করে,
অনেক ভালোবাসায় জড়িয়ে নিতাম তোমায় আপন করে,
কিন্তু জানি সবই মরিচীকার মায়া, তোমার মনে পড়বেনা কখনো আমার ছায়া।
কখনো ধরবেনা দুটি হাত আপন করে,
কখনো দেখবেনা আমায় দুচোখ ভরে।
তাই এখন আর তোমাকে চাই না,
তোমার স্মৃতি আগলে রেখেছি বুকে বহু যতনে,
তার সাথেই আমি নিত্য বসত করি,
তার সাথেই স্বপ্ন ভাঙি আর গড়ি।
কত অনুরাগে কত কথা বলি,
তুমি তো একদমই চুপসে থাকো সারা বেলা,
আর আমিই করি তোমার সাথে হাসি কান্নার খেলা।
বলেছিলে,
তোমার কপালে লালটিপ খুব সুন্দর মানায়,
রোজ একটা লাল টিপ দিয়ো, আমি তোমায় দেখবো বলে,
দুচোখ সাজিয়ে নিয়ো গাঢ় কাজলে,
কাজল ছাড়া ওই দুটি চোখ বড়ই বিষন্ন বেমানান।
পা দুটিকে যত্নে রেখো,
আমি জোছনার রঙ দিয়ে তোমায় সাজিয়ে দেবো,
আমার মনের মতন করে,
"একটুও নিজের যত্ন করনা তুমি।"
কত কথাই না বলতে তুমি আদরে,
জড়িয়ে নিতে আমায় তোমার ভালোবাসার চাদরে।
সেই তুমি কোথায় যে হারিয়ে গেছো,
আর পাইনা তোমায় খুঁজে।
অনেক প্রতিক্ষার প্রহর পেরিয়ে গেলো,
তবু তুমি এলেনা।
তাই আর ডাকবোনা তোমায়,
কাদবোনা আর চোখ ফুলিয়ে।
ওরা আমায় বৈধব্যের সাদা শাড়ি দিয়ে গেছে,
কতদিন চুল বাধিনা,
কপালে লাল টিপও দেয়না অভিমানে,
কাজল গুলি ধুয়ে গেছে নোনা অশ্রুর জলে।
কিন্তু আজ আয়না ডেকে বলে একটুখানি সাজো নিজের মনের মতন করে,
ওই দুষ্ট মনটারও যে বড্ড সাধ জাগে একটুখানি আপন আদরে জড়াতে।
আর এ মন চায়না যে অনাদরের ধবল বসনে জড়াতে।
তাই এখন আর আমি তোমাকে চায়না,
"হে আমার অকাল বৈধব্য"।
ফারহানা হৃদয়িনী

একটি অপ্রকাশিত প্রেম পত্র

” আমি অজানা অসীম অশুণ্যতা অপুর্ণতা নিয়ে জন্মেছি; এ আমার আহংকার নয়।আত্ন উপলব্দির চেতনা লব্দ সহজ সত্যের সরল স্বীকারক্তি।এ আমার ভালোবাসার উক্তি”

“পৃথিবীর কোন কিছুই সহজ নয়।সবই কঠিন।কারো মন জয় করাটা হয়তোবা আর ও বেশি।তা নাহলে কেনআমি যাকে এত ভালোবাসি তার মন পাব না?কেনো সে নিজেকে সবসময় আঁড়াল করে রাখে?সে কি জানে না সে আমার কান্নার সাথী,হাসির সাথী।যাকে আমি দেখেছি শরতের হাজারো কাশফুলের মাঝে।যার অবাধ্য চুলের ঝাপটায় আমার মনে বসন্ত জাগে।আমি যে তাকে অনেক বেশি ভালোবাসি”

“বিধাতার সৃষ্ট পদার্থে অনেক বেশি জটিলতা।পাথরের বুক বেয়ে নির্ঝরের স্রোত বইছে;আবার আমার মত হতভাগার বুকেও প্রেমের ফল্গুধারা লুকিয়ে রেখেছে।আর সে যদি ভালোবাসাই সৃষ্টি করল,তবে আলোর নিচে ছায়ার মত তার আঁড়ালে নিরাশাকে কেন গোপন করে রাখল?এ অদ্ভুত হিসাব আমি মিলাতে পারি না…

“যেদিন এই নিষ্ঠুর পৃথিবীর আর সবাই আমাকে ভুলে যাবে,সেদিন অন্তত তোমার বুক ব্যথিয়ে উঠবে এই পাগলটার পাগলামীর কথা মনে করে।অন্ততএইটুকু সান্তনা নিয়ে যেতে পারব।এ কি কম সৌভাগ্য আমার?সেদিন তোমার সবচেয়ে প্রিয় বন্ধুর চেয়েও হয়তোবা বেশি করে মনে পড়বে এই দূরের বন্ধুটিকে।

” আমার চাওয়ার কিছু নেই।আমি পেয়েছি-তোমাকে।আমার রক্তে,চোখের জলে।”

” আচ্ছা, ছোট্ট একটা প্রশ্ন করি?কাউকে ভালোবাসা কি পাপ না অন্যায় না অপরাধ না নিষেধ?আমি তোমাকে ভালোবাসি–তোমার দৃষ্টিকোণ থেকে এটা কি?নিশ্চয় অন্যায়?পাপ ও হতে পারে?তাই না?

” সত্যিই তো–তোমার সুন্দরে চরণ ছোঁয়ার যোগ্যতা আমার নেই।আমার যে দু’হাত মাখা কালি।যে কালি তোমার রাঙ্গা পায়ে লেগেছে,চোখের জলে তা ধুয়ে দিতে চাই।”

” কথাগুলো তোমার সামনে দাঁড়িয়ে বলা উচিৎ ছিল।কিন্তু আমি তোমার সামনে যেতে পারি না।বড্ড ভয় লাগে।তোমাকে দেখলে অনেকটা এলোমেলো হয়ে যাই।কথা বলার ভাষা হারিয়ে ফেলি।কেন এমনটা হয় বুঝি না।এটাই বুঝি ভালোবাসা,এটাই বুঝি প্রেম।”

” আমার কপালটা সত্যি ই অনেক অদ্ভুত।যাকে এত ভালোবাসি,সে আমাকে একদম ই দেখতে পারে না।আচ্ছা,তুমি কেন ছেঁড়া কাগজের মত আমাকে বারবার ছুঁড়ে ফেলে দিচ্ছ?”

” আমি যে সত্যি ই তোমাকে অনেক বেশি ভালোবেসে ফেলেছি”

” একটা মেয়েকে কিভাবে প্রেম নিবেদন করতে হয়সেটা আমার জানা নেই।তবে এটা জানি,আমি তোমাকে অসম্ভব ভালোবাসি।আমার সুর্যের আলোর মত নিরপেক্ষ।কিন্তু আমি তোমাকে তা বুঝাতে পারি না।আমি যে এমনি।”

” তুমি কি একটি বার চিন্তা করে দেখেছ,কি আগ্রহে এক স্বপ্নবাজ ছেলে ভীষণ মুগ্ধতায় সারাক্ষণ তাকিয়ে থাকে…?”

” সত্যিই অনেক আজব এই পৃথিবী! আজব পৃথিবীর মানুষগুলো!! আর সবচেয়ে বেশি আজব পৃথিবীর নারী গুলো!!!”

” অদৃষ্টের বিড়ম্বনায় ভিক্ষে যদি কেউ কেউ চাইতেই আসে,ভিক্ষে তাকে তুমি নাই বা দিলে কিন্তু দূর দূর করে তাড়িয়ে দিয় না।পৃথিবীর কাছে হয়তবা তুমি কেউ একজন;কিন্তু কারো কাছে হয়তবা তুমি ই তার পৃথিবী”

” তোমরা মেয়েরা পৃথিবীর সব ছেলেদের একই রকম মনে কর।কিন্তু পৃথিবীর সব ছেলে এক রকম নয়।কিছু ব্যতিক্রম অবশ্যই আছে।তোমরা বিজ্ঞানে যুগে বাস কর বলে পৃথিবির সব ছেলেদের তোমাদের কাছে একই রকম মনে হয়।আচ্ছা,তোমাদের বিজ্ঞান কি বলতে পারে এক ফোঁটা অশ্রু জলে কয় ফোঁটা রক্ত হয়.…..?”

ইতি–
কোন এক হতভাগা
.
.
.
(এই চিঠিটা আমি আজো তাকে দিতে পারি নি।মনে হয় কখন দেয়াও হবে না।)

একটি অপ্রকাশিত প্রেম পত্র

এসো এক বিকেলে

এসো এক বিকেলে,
কৃষ্ণচূড়ার পাপড়ি ঝরা পথে, 
শ্রাবন বেলার সিক্ত মেঘে, 
নিভু নিভু গোধূলীর অন্তপ্রহরে,
অধরা মায়াবিথীর স্বপ্নিল উপন্যাসে,...
আমি আছি, একমুঠো স্বপ্ন হাতে অপেক্ষায় তোমার,
তুমি এসো, তুমি এসো,
এক বিকেলে।


আমি বৃষ্টি ঝরাবো,
ঠান্ডা হাওায়ায়
মাতাবো তোমার চুল,
পাখির ডানায় ওড়াবো তোমায়,
তোমার আচোঁলে দেব বলে,
ভালোবাসার এক মায়া ছোয়া পৃথিবী রেখেছি এ মনে।
তুমি এসো, তুমি এসো,
এক বিকেলে।


আমি আছি একমুঠো ভালবাসা হাতে ,
চৈএে তোমার ছায়াসঙ্গি হবার পূর্ণ বাসনা নিয়ে,
চাঁদের পূর্ণীমায়,
আধোআলো মায়ায়, ক্লান্তিহীন অবগাহনে,
তোমারি অপেক্ষায়,
তুমি এসো, তুমি এসো,
এক বিকেলে।

যেদিন তুমি পাল্টে গেলে

যেদিন তুমি পাল্টে গেলে

যেদিন হঠাৎ তুমি পাল্টে গেলে
সেদিন থেকে বদলে গেল আমার আকাশ ।
পাল্টে গেল আকাশের রঙ ।
কষ্ট পেল মেঘেদের মন ।
থেমে গেল সব কোলাহল ।
বৃষ্টি নামলো । কষ্টের বৃষ্টি । সুখের বৃষ্টি ।
আমায় ধুয়ে শুদ্ধ করতে বৃষ্টির দলে যেন
প্রতিযোগীতা লেগে গেল ।
কার ও চেষ্টার কোন কমতি ছিল না ।
এরপর, মেঘেদের ক্লান্তি এল । আকাশ আবার নীল হল ।
শুধু নিকষ কালো অন্ধকারে ঢেকে রইল
আমার চন্দ্রাহত পৃথিবী ।
আজ থেকে তুমি মুক্ত
আমি তো কখনো তোমায় ছুতে চাইনি ,
চাইনি তোমার পাঁজরে বন্দী হতে,
চাইনি চাঁদনী রাতে তোমার হাত
ধরে হাঁটতে হাঁটতে দূরে কোথাও হারিয়ে যেতে ।
মাঝে মাঝে মন যে চায় না তা না,
তবে তুমি চাইবেনা বলেই আমিও আর চাই নি ।
আমি কখনই চাইনি তোমার
নিঃশ্বাসের কাছে আসতে ।
শুধো চেয়েছি তোমায় একটু ভালবাসতে ।
সে অধিকার থেকে আমায় বঞ্চিত কর না প্লীজ ।
আমি জানি তুমি আমায় ভালবাসবে না ।
তবু দূর থেকে আমি ভালোবেসে যাব ।
মাঝে মাঝে হয়ত খুব ইচ্ছে হবে তোমার সাথে কথা বলতে,
দূর থেকে একটুখানি দেখতে ।
কিন্ত না,
তোমার রঙিন জীবনে আমি বাঁধা হয়ে দাঁড়াব না ।
আজ থেকে তুমি মুক্ত । ভাল থেকো ।
তোমার কথা মনে পড়ে
প্রতিদিন রাত যায় দিন আসে, রাত আসে রাত বাড়ে
আর রাত যত বাড়তে থাকে ততই তোমার কথা মনে পড়ে
পুরনো সেই দিনগুলোর কথা মনে পড়ে
ক্ষণে ক্ষণে হেসে উঠা তোমার ওই উচ্ছল চেহারা
সেই স্মৃতিগুলো মনে করে আমি হাসি
আর সেই স্মৃতির শেষ দিকের
কথাগুলো মনে করে আমি কাঁদি
রাত বাড়ে, দিন আসে,
আমার দিনগুলো এভাবেই কেটে যায় হায় প্রেম !!

তুমি এলে ভোরের চাঁদ হয়ে

তুমি এলে ভোরের চাঁদ হয়ে
         নিঃসঙ্গ নাবিক

কতরাত তোমার
কথা ভেবে ভেবে কেঁদে কেঁদে কাটালাম ।
এর পর একদিন ভোর হল, তুমি এলে ।
আমি ভাবলাম এরই নাম কি ভোরের চাঁদ ?
উপড়ে তাকালাম , উনার
কাছে কৃতজ্ঞতা জানাবো ।
জবাবে উনি একটু হাসলেন । তোমার
দিকে তাকালাম ।
তুমিও হাসলে। আমার সব রাত জাগার
কষ্ট এক নিমিষে দূর হয়ে গেল ।
সকালের মিষ্টি রোদ পড়ছিল তোমার
মুখে । আমি ফ্যালফ্যাল
করে তাকিয়ে রইলাম।
তুমি বললে, “কি ? কি দেখো ?
খালি চেহারা দেখলেই হবে ?
বসতে বলবে না ?”
আমার খুব বলতে ইচ্ছে হলো, ” তোমার
হাতটা একটু ধরি ? সাহস পেলাম না ।”
যদি আবার হাতটা ধরে আবার
প্রেমে পড়ে আবার ভুল করি !?!
” এসো, ভোরের পাখি, তুমি বস
আমার ঘরে
কতকিছু দিবার আছে তোমায় উজাড়
করে । “

মাঝে মাঝে হয় এমন হয়

মাঝে মাঝে হয় এমন হয়
আবদুল্লাহ মামুন (  ধ্রুব অক্ষ ) 
--------------------------------------------------------------
বাতাসটা একটুকু ভারী হয়ে যায়
ফুসফুসে একটুকু অক্সিজেনের অভাব বোধ হয়
শ্বাস নিতে একটুকু ব্যথা হয় কষ্ট হয়
মাঝে মাঝে হয় এমন হয় ।,

ঘরের বাতি নিভিয়ে দিতে হয়
অন্ধকার ঘরে শুয়ে থাকতে হয়
দুচোখ দিয়ে অশ্রু গড়িয়ে পড়তে দিতে হয়
চোখের জলে বালিশ ভেজাতে হয়
মাঝে মাঝে হয় এমন হয় ।,

কোনো এক মানবীর কথা ভেবে কাঁদতে হয়
নির্ঘুম রাত কাটাতে হয়
খোলা আকাশের নিচে শুয়ে থাকতে হয়
শত শত তারকার মাঝে হারিয়ে যেতে হয়
নিঃসঙ্গ দুঃখী শুকতারার ডাকে সারা দিতে হয়
হয় মাঝে মাঝে এমন হয় ।

সবকিছু ভুলে যেতে হয় ভুলে থাকতে হয়
বন্ধনমুক্ত বন্ধনহীন হতে হয়
নিয়ন্ত্রন হারাতে হয় ঢিলা হতে হয়
বুক চিরে চিত্‍কার করে কাঁদতে ইচ্ছা হয়
হয় মাঝে মাঝে এমন হয় ।,

আকাশ পাহাড় সাগর নদী বৃক্ষ হতে ইচ্ছে হয়
মুক্ত বিহঙ্গ হয়ে হারিয়ে যেতে ইচ্ছে হয়
শূণ্যতায় মিশে যেতে ইচ্ছে হয়
মাঝে মাঝে হয় এমন হয়।

তোমাকে জড়িয়ে ধরতে ইচ্ছে হয়
তোমার বুকে মাথা রাখতে ইচ্ছে হয়
তোমার সাথে মিশে যেতে ইচ্ছে হয়
এক হয়ে যেতে ইচ্ছে হয়
মাঝে মাঝে হয় এমন হয় ।,

আকাশের মেঘ হতে ইচ্ছে হয়
বৃষ্টি হয়ে ঝরে পড়তে ইচ্ছে হয়
রংধনু হয়ে আকাশ রঙিন করতে ইচ্ছে হয়
হয় মাঝে মাঝে এমন হয় ।

শুণ্য হাতে হাত রাখে কষ্ট

__________ শুণ্য হাতে হাত রাখে কষ্ট
_______________ ‪ধ্রুব অক্ষ‬
-------------------------------------------------------
তোমার হাতে যখন অন্য পুরুষের হাত,
তুমি-সে দুজনে একসাথ
-তখন আমি ঈর্ষান্বিত।
মনে হয় বেঁচেও যেন মৃত।
হৃদয়ে অচেনা বেদনা হয় সৃষ্ট,
আর আমার শুণ্য হাতে হাত রাখে কষ্ট।
*
*
তুমি যখন অন্য পুরুষের প্রশংসায় পঞ্চমুখ,
চোখের চাঞ্চল্যে প্রকাশ পায় তোমার সুখ
- তখন আমি লজ্জিত।
মনে হয় বেঁচে থেকেও মৃত।
হৃদয়ে অচেনা বেদনা হয় সৃষ্ট,
আর আমার শুণ্য হাতে হাত রাখে কষ্ট।
*
*
যখন অন্য পুরুষের সাথে তুমি কথা বল অবিরত,
তোমার হৃদয়ে ছুঁয়ে যায় ভালো লাগা শত
- তখন আমি ব্যাথিত।
মনে হয় বেঁচে থেকেও মৃত।
হৃদয়ে অচেনা বেদনা হয় সৃষ্ট,
আর আমার শুণ্য হাতে হাত রাখে কষ্ট।

ভালোবাসার ইশতেহার

_______ ভালোবাসার ইশতেহার 
_____________ ‪ধ্রুবঅক্ষ‬
------------------------------------------------------------------
তোমার তোমাকে ছুঁতে আমি হন্যে হয়ে ফিরি
এ বিশ্বভুমণ্ডলের কত নির্জন রাতে ,
আমি এখনও কত নক্ষত্রের রাতে
উদ্ভ্রান্ত হয়ে যাই
বেঁচে দেই কত জোছনারাত
আমার বুক চিরে ।

যেভাবে আসলে কাছে আসা যায়
আমি ততটুক কাছে আসি ,
তপ্ত হৃদয়ের নীললোহিত ভালোবাসার
ইশতেহার নিয়ে ।

তোমার দেয়া দুঃখের সমাবেশ
উদ্গরিত কষ্টকে ভালোবেসে
কত বিচিত্র নিঃসঙ্গতার রাত
আমি বিনির্মাণ করি ।

আগুনমুখো নদীর বুক চিরে
যে মাঝি ডুবে যায় গভীর জলে
তার বিশ্বাসের স্রোতে ,
সেভাবে ঠিক আমি ডুবে যাই
তোমার মোহের অসুখে ।

তোমার নিকটে আমি কতবার
পরাজিত হই
কতবার অন্ধকার রাতের গ্লাসে
মুখ ডুবাই ,
তবু এক বিচিত্র ভালোবাসার অসুখে
তোমাকে ভালোবাসার ইশতেহার
বুকে নিয়ে ঘুরি ।


*****প্রতারিত সুখী****

*****প্রতারিত সুখী*****
 মামুন আব্দুল্লাহ (ধ্রুব অক্ষ)
====================================
বাতাসের সুবিশাল বাধা পেরিয়ে
আজ আমি নির্বোধ সুখী।

অস্পৃশ্য হৃদয়ের করুন আর্তি
আন্দোলিত হয় কষ্টময় আবেগে
জীবনের অদৃশ্য হাতে আজ
পাওয়া না পাওয়ার ব্যর্থ হিসাব -
ভারসাম্যের বৃথা চেষ্টা !

মিথ্যে ছায়ায় আমার ভালোবাসা
মিথ্যে মায়ায় আমার অহংকার।
আর তার স্পর্শে আমার ধ্বংস,
আমার অহমের (ক্ষমাহীন) অপমান।

ব্যাঙ্গের অট্টহাসি পরম আত্মার
“তুমি ভুল, তুমি ব্যর্থ,
বোধহীন এক নিকৃষ্ট সত্ত্বা।
মায়াময় ছায়ায় বন্দী তুমি।”
আর আমার ভালোবাসার আবর্তনে
আমি আজ রক্তাক্ত সুখী।

চেনা দুঃখের মাঝে আমার আকাঙ্খা
বিলীন হয় ছায়ার স্পর্শে।
আমি বলি, “আমি সুখী”।
এভাবেই প্রতারিত করি নিজেকে -
প্রতিনিয়ত।

সত্য বড় নিষ্ঠুর হয়ে এসে দাঁড়ায় -
আমার ছেঁড়া আকাশে।
অদৃশ্য ছায়ার অলীক বিশ্বাসে,
মিথ্যে আলিঙ্গনের আর্দ্র ধুম্রজালে -
আমি আজ প্রতারিত সুখী।

অস্থির সঙ্কল্পতা

____________  অস্থির সঙ্কল্পতা
_________ ‪‎আবদুল্লাহ মামুন‬ (ধ্রুব অক্ষ)
========================================
ভালোবাসা শব্দটার সাথে প্রথম যেদিন পরিচয় ঘটল,
সেদিন থেকে আমি ভালোবাসা জমাচ্ছি।
ভালোবাসা জমাচ্ছি ই আর স্বপ্ন দেখছি।

আমি ভালোবাসা জমাচ্ছি সেই অনাগত মানুষটির জন্য,
যার নিস্কলংক স্পর্শে, অঝোর ধারায় বূষ্টি নামবে,
চৈত্রের রোদে দগ্ধ হওয়া ভালোবাসার কাঙ্গাল,
আমার হৃদয় বেদীতে।

যার চুলের আড়ালে মুখ লুকিয়ে নিশ্চিন্তে কেটে যাবে রাত।
যার ভালোবাসা জড়ানো লাজুক দূর্ষ্টি কখনও ফিকে হবে না।
যার নুপুর পরা নিস্পাপ পা দুখানা দেখতে দেখতে,
ডানা মেলব স্বপ্নসুখের দেশে।

তার পরিপাটি করে বাঁধা চুলগুলোর মত,
আমার অগোছালো জীবনটাকে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে গুছিয়ে দিবে,
আমাকে মিষ্টি শাষণে জীবন শেখাবে।
আমি সেই মায়াবী পরীর জন্য ভালোবাসা জমাচ্ছি।.

চাঁদ যেমন সারাটা দিন ধরে রাতের জন্য ভালবাসা জমায়,
আর দিন শেষে সে শুভ্র ভালোবাসার নিস্পাপ অঞ্জলী,
উজাড় করে ঢেলে দেয় রাতের বুকে।
আমিও তেমনি ভালোবাসা জমাই, আমার সেই মানুষটির জন্যে।

যে আমাকে ভালোবেসে, তার ওড়না দিয়ে,
আমার ঘাম মুছিয়ে দিবে, আমাকে বাঁচতে শেখাবে।
মাটিকে ভালোবেসে মেঘপুঞ্জ তার জমানো পানি,
ঝম ঝম করে আছড়ে ফ্যালে মাটির বুকে।
আমি সেই মেঘমালার সাথে পাল্লা দিয়ে ভালোবাসা জমাচ্ছি।

মাঝে মাঝে নিজের অজান্তেই অবুঝ মনটা
চিৎকার করে জানতে চায় ,
এত কষ্টে জমানো, আজন্ম লালিত ভালোবাসা,
এই ছোট্র জীবনে তাকে দিয়ে যেতে পারব তো !!

অসমাপ্ত উপন্যাস

অসমাপ্ত উপন্যাস

ধ্রুব অক্ষ
=================================================


আমি কাছাকাছি এসেছিলাম
তুমি যেখানে শুন্য বেছে নিয়েছিলে চাঁদের স্পর্শ ছেড়ে ,
যেখানে মেঘ ভিড় করেছিল মায়াবী কান্নার হিম জলস্রোত
বন্দী করে

আমার শুধু একটাই প্রশ্ন করার ছিল ,
তোমার আর্দ্র চোখে আমার উপস্থিতি কোথায় ?
নাকি মায়াবী বিভ্রমে ধুলিস্নাত হয়েছে
আমার ভালোবাসার জন্মলগ্ন স্থায়িত্ব


দুরন্ত চাঁদ ছুঁয়ে আসা জোছনায়
আমার হৃদপিন্ডের স্পন্দন
তোমার পাঁচ আঙুলে বন্দী মুঠোফোন ছুঁয়ে
তোমার কানে কি পৌঁছায় ?

নাকি সব আমার শুধু প্রেম,
তোমাকে ঘিরে অদ্ভুত জোছনালোকে হাঁটা ,
নিজেকে অন্তর্দাহে পুড়িয়ে পুড়িয়ে মারা
সাথে সুখ পাওয়া

আমি নিছুক কোন উপন্যাসের পাতার
প্রেমিকের রোল করছিনা
যে উপন্যাসটা পড়া শেষ হয়ে গেলে
আমার প্রেম মরে যাবে

তুমি কি শুনতে পাচ্ছো ?
বাইরে অদ্ভুত সুন্দর বৃষ্টি হচ্ছে
জোছনা শেষে ,
আমি একা দাঁড়িয়ে থাকতে পারছিনা ।
আমার ভেতরের মনটা তোমাকে খুব করে মনে করছে ।

HINDI PROPOSE SHAYARI SMS

HINDI PROPOSE  SHAYARI   Dil ye mera Tumse Pyar karna chahta hai, Apni Mohabbat ka izhaar karna chahta hai, Dekha hai jab se Tumhe aey me...