পরকিয়া প্রেম - প্রহেলিকা
প্রহেলিকা, প্রহেলি, প্রাণ পাখি, জান, জানু পাখি, কলিজা, জানু, জানু, কই , কই , তুমি কই , কই জানু পাখি, জানু আমার ,
কলিজা আমার , পাখী আমার, ভালোবাসা আমার , হৃদয় আমার , পরান আমার, জানুরে, ও জান..........আসো তাড়াতাড়ি আসো।
যেওনা , প্লিজ।
মনের মাঝে খুব অসস্থি। দারুন অপরাধবোধ কাজ করছে। এই পাপবোধের জন্য মনে হয় ঘুম আসছেনা ।
রাত নিশি হচ্ছে ক্রমশঃ। কিন্তু কীসের যেন এক দূর্নিবার নিষিদ্ধ আকর্ষণ আমাকে টানছে।
আমার চোখ আটকে আছে ফেসবুকের পাতায়।
ম্যাসেজের দিকে চেয়ে আছি। "হ্যালো প্রহেলিকা" , আর কতক্ষণ বসে থাকবো?
কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর লিখলাম- হ্যালো।
তুমি এতো দেরীতে রিপ্লাই দাও ভালো লাগেনা। জানোনা, ওয়েটিং ইজ সোর, প্রিয় প্রহেলিকা । প্রিয় প্রহেলি। তোমার জামাই কই? এখনো ঘুমায় নাই?
জ্বি,পাশের রুমে ঘুমাচ্ছে।
তোমার কি মন খারাপ? এতো দেরী করে রিপ্লাই দাও কেন? মন মানে না,জানু পাখী। তোমাকে ছাড়া এক মুহুর্তও ভালো লাগেনা। আমার সারাক্ষণ শুধু তোমার নাম ধরে ডাকতে ইচ্ছে করে।
আমি ধীরে ধীরে লিখলাম-শুধুই কি ডাকতে ইচ্ছে করে? আর কিছু না।
কি ডাকতে ইচ্ছে করে?
জানু, জানু পাখি, জানু , জানুপাখি, জানু , জানুপাখী, জানু, জানুপাখী।সারাক্ষণ শুধু ডাকতে ইচ্ছে করে প্রিয় প্রহেলিকা। কিন্তু তারপরও যে আমার তৃষ্না মিটেনা।
তোমার তৃষ্না মিটে কীসে?
তুমি জানোনা, কীসে তৃষ্নামিটে। তোমাকে কতগুলো চুমু খেয়েছি জানো। মোট ৭৯১ টা। তারপরও তৃষ্না মিটেনা।
প্রতিটি চুমুর পর নতুন করে তৃষ্না জাগে। প্রতিটি চুমুই মনে হয় নতুন। এভরি লাস্ট কিস ইজ ফার্স্ট কিস।
বাহবা। প্রতিটি চুমু তুমি গুনে রেখেছো। এতো ভালোবাসো?
শুধুই কি চুমু গুনে রেখেছি। ছোট অভিসার, বড় অভিসার, গভীর অভিসার। শুকনো, ভেজা সব গুনে রেখেছি। তোমার সবচেয়ে সুন্দর কি জানো?
কি?
পামেলা এন্ডারসান ফেইল। এতো নিঁখুত । ২১টা চুমু খাওয়ার পর যার স্পর্শ পেয়েছিলাম।
আফটার ২১ কিসেস দ্যান ইউ এ্যালাউড মি আনলিমিটেড এ্যাকসেস টু ইউর বুবস।
তাই নাকি? সব হিসাব করে রেখেছো।
হুম। তুমিই বলেছিলে। ঐ টাই নাকি পারফেক্ট লাভার।
তাই নাকি? আর ভেজা অভিসার কোনটা ?বলতো শুনি।
মুখে বলতে পারবোনা, কাছে আসো ।ওফ.....জান। জানোপাখি। জানোরে...
আরে বলোনা শুনি। শুনতে ভালো লাগছে।
এমন সময় পাশের রুমে শব্দ হলো। আমি তাড়াতাড়ি টেবিল লাইট অফ করে বাথরুমে গেলাম। এসে দেখি না ও ঘুমিয়ে আছে।
ঘুমের ঔষধ কাজ করা শুরু করেছে । এতো সহজেতো আজ ঘুম ভাঙার কথা না।
কম্পিউটার রুমে এসে আবার লাইট অফ করলাম।
দেখি- প্রহেলিকা, প্রহেলি, প্রাণ পাখি, জান, জানু পাখি, কলিজা, জানু, জানু, কই , কই , তুমি কই , কই জানু পাখি, জানু আমার , কলিজা আমার , পাখী আমার, ভালোবাসা আমার , হৃদয় আমার , পরান আমার, জানুরে, ও জান..........আসো তাড়াতাড়ি আসো।
যেওনা , প্লিজ। বাই বলে যাও। ইত্যাদি লিখায় পুরো ইনবক্স অদম্য ভালোবাসার কামনায় ভর্তি হয়ে আছে।
আমি তাড়াতাড়ি করে লিখলাম- সরি, সরি, সরি। মনে হলো - ও ঘুম থেকে ওঠেছে।
তাই ও কিছু বুঝার আগেই বাথরুমে চলে গেছিলাম। এতো ওথলা হলে হবে? সাহস থাকলে একেবারেই নিয়ে যাওনা? তা তো পারোনা?
তুমি আরেকটু দেরি করলে, আমি কিন্তু সত্যিই গাড়ি নিয়েই ঠিকই তোমার বাসায় চলে আসতাম।
এতো সাহস তোমার? এতো রাতে চলে আসতে? ভয় লাগতো না?
কীসের ভয়? ঐ চিকনা পাতলু কে ভয় ?। এতো সুন্দর মোহনীয়, কমনীয় সেক্সি ,বাঁধভাঙগা যৌবনে যে ভরপুর এমন বউকে সারাদিন ঘরে রেখে যে সারাদিন ব্যাবসা নিয়েই থাকে তাকে ভয় করবো?
প্লিজ, ওরকম বলোনা। এখনো ও আমার স্বামী।
স্বামী বললেই হলো? শুধু কাগজের স্বামী। কিছু কি তোমাকে দিতে পেরেছে? তুমিতো নিজেই বলেছো- ঐ চিকনা পাতলুর সাথে তোমার সেক্সুয়াল লাইফ সুখের না।
এখনো প্রথম গোপন সেই অভিসারের পরম সুখ আমার দেহে লেগে আছে।
তোমার প্রহেলিকা নামের মাঝেই যে জিনিসটা লুকিয়ে আছে সেটাইতো ও তোমাকে ভালো ভাবে দিতে পারেনা। ও আবার স্বামী।
আমার নামের মাঝে কি লুকিয়ে আছে?
আমার বুকের মাঝখানে আসো। বুকের ওপর তোমায় রেখে কানে কানে বলি।
প্লিজ বলো।
বলবো, তুমি আমার বুকের সাথে মিশে আছো কিনা আগে বলো? আমার কোলে বসে, ,মাথা নিচু করে একটা চুমু দাও।
এই আসনটা না সবচেয়ে ভালো। দুজন দুজনাকে সবচেয়ে কাছাকাছি পাওয়া যায়। সবকিছু একসাথে পাওয়া যায়।
তাই নাকি? কোন আসনটা?
কেন তোমার মনে নেই- মংলা - সুন্দরবান ট্যুরে।
মনে থাকবেনা কেন? তোমার কাছ থেকে শুনতে ভালো লাগছে। ভাবতেই কেমন যেন সুখ পাই।হু,মনে করো ঠিক ঐ রকম করে বসে আছি। এবার বলো, আমার নামের মাঝে কি পেলে?
জানুরে, জানু পাখিরে, ও কলিজারে । আমি আর সহ্য করতে পারছিনা। এতোবার অভিসারেও মন ভরেনা।
বারবার , বারবার তোমাকে পেতে, তোমার শরীরের ভিতরে প্রবেশ করতে মন চায়।
মন চায়,পায়ের নখ থেকে চুলের আগা পর্যন্ত কামনার লালায় ভিজিয়ে দেই। আমি যে আর পারছিনা।
সত্যি করে বলোতো আমি তোমার কি ছিলাম, আর কি হলাম?
তুমি আমার সব। তুমি আমার ভ্যানিলা স্কাই ম্যুভির ক্যামেরন দিয়াজ।
সেটা আবার কি?
একসাথেইতো দেখলাম। মনে নাই- ক্যামেরুন দিয়াজ টম ক্রুজের ফাক বাডি থাকে- ভ্যানিলা স্কাই ম্যুভিতে।
আমার শরীর গরম হয়ে যাচ্ছে। নিজের ভিতরে তোলপাড় করছে। আর সহ্য করতে পারছিনা। তাহলে আমি তোমার শুধু ফাকবাডি? আর কিছু না?
আচ্ছা , আমি যদি আর তোমার সাথে আর কোনোদিন সম্পর্ক না রাখি?
কি বলো তুমি? কেন সম্পর্ক রাখবানা।পৃথিবীর কোনো নারীই আমাকে এতো সুখ দিতে পারবেনা।
আচ্ছা মনে করোনা, আমি আর সম্পর্ক রাখলাম না। তখন কি হবে। তুমি বিয়ে করলেইতো আমাকে আর মনে রাখবেনা। আমি চাই এ সম্পর্ক শেষ করতে।
তুমি যেদিন এ সম্পর্ক শেষ করবা।সেদিনই আমি তোমাকে না....
বলো, কি করবা আমাকে? মেরে ফেলবা?
হুমম, সত্যিই মেরে ফেলবো। মেরে কুচি কুচি করে কেটে লাগেজে ঢুকিয়ে রাখবো। তারপর নিজেও মরে যাবো।
কি বলো এসব? তুমি না আমাকে ভালোবাসো?
ভালোবাসি বলেইতো তোমাকেও মারবো, নিজেও মরবো।
না জানু। তোমাকে ছাড়া আমিও এক মুহুর্ত থাকতে পারবোনা।
তবে এভাবে আর কতদিন? আমিযে আর পারছিনা। এই গোপন অভিসার আর ভালো লাগেনা।
জানু,জানুপাখি, জানুরে, কলিজারে,ওজানু, ও কলিজা।
এভাবে ডাকো না তো । বুকের ভিতর কেমন যেন করে। তোমার আহ্বানেই আমি ওয়েট হয়ে যাই।
তুমি আমাকে নিয়ে যাও। আমি আর সইতে পারছিনা , এ জ্বালা। এক্ষুনি নিয়ে যাও।
সত্যি বলছো। সত্যি তুমি চলে আসবা? কতোবার বলেছি- ঐ ভূড়িওলা তোমাকে সুখি করতে পারবেনা।
তুমি ত্বপ্ত না। ইচ্ছে করছে-আমার কামনার লালা দিয়ে তোমার সব, দেহের প্রতিটি জায়গা এখন ভিজিয়ে দেই।
প্লিজ দাও। আমাকে পিষে ফেলো, মেরে ফেলো। আমি আর এক মুহুর্তও এখানে থাকতে চাইনা? আমি আর পারছিনা, তুমি আসো। এক্ষুনি আমাকে নিয়ে যাও।
সত্যি তুমি চলে আসবা? সত্যি তুমি আসবা, জান রে , কলিজারে।
হু হু হু, সত্যি সত্যি সত্যি চলে আসবো। তুমি আমাকে নিয়ে যাও। তাড়াতাড়ি এসো।
আমি আসছি জানু পাখি। ২০ মিনিটের মাঝে আসছি।
আসো, যত দ্রুত পারো । আমি রেডি হয়ে নিই। এই নরকে আর থাকতে চাইনা। তুমি আমাকে সুখ দাও। আমি বারবার সেই সুখ পেতে চাই।
রেডি হতে কতক্ষণ লাগবে?
শোনো , আমি শুধু তুমি আসতে আসতে একটা লাগেজ গুছিয়ে রাখবো। সিঁড়ি ঘরের পাশে রাখবো। লাগেজ একটু ভারি হতে পারে।
চিকনা পাতলু অনেক গহনা দিয়েছে। গহনা দিয়েই মনে করেছে মন ভরিয়ে রাখবে? নারীর মন কি শুধু গহনায় ভরে।
তুমি এসে লাগেজটা গাড়ীর ট্রাঙকে রেখে তারপর হর্ন বাজিও। হর্ণের শব্দ পেলেই আমি নীচে চলে আসবো।
বাই, কলিজা। বাই জানু পাখি। লগ অফ হলাম।
কম্পিউটার বন্ধ করে আমি কিচেনে যাই। ও ঘুমিয়ে আছে। সব কিছু খুব ঠান্ডা মাথায় করতে হবে। ফ্রিজ খুলে এক গ্লাস ঠান্ডা পানি খাই।
তারপর নিজের ব্যাড রুমে আসি। ও গভীর ঘুমে অচেতন। আস্তে আস্তে লাগেজ খুলি।
তারপর ওয়ারড্রোব থেকে কয়েকটি শাড়ি, গহনা, ব্রা, কয়েকটি প্যাটিকোট লাগেজে ডুকাই। সুন্দর করে লাগেজের চারপাশে রাখি।
ওয়ালের মাঝে আমাদের বিয়ের পর হানিমুনের ছবি শোভা পাচ্ছে। আমার বুকের সাথে ও একেবারে মিশে আছে পরম ভালোবাসায়।
আহঃ কী সুন্দর করে আমার বুকের সাথে মিশে আছে আমার প্রিয়তমা বউ প্রহেলিকা
প্রিয় প্রহেলি- সারারাত জেগে জেগে এভাবেই তুমি কলেজের ক্লাস রেডি করতে।তাই না? মংলা - সুন্দরবান গিয়েছিলে শিক্ষাট্যুরে নাকি গোপন অভিসারে।
ফাকড বাডি। বাহঃ ফাকড বাডি । কী সুন্দর একটা শব্দ শিখলাম। ভ্যানিলা স্কাইয়ের ক্যামেরুন দিয়াজ।
তোমার গোপন প্রেমিক তোমার ফাকড বাডি তোমাকে নিতে আসছে। এখন ইচ্ছেমতো আসন সাজাতে পারবা।
বিবাহিত স্বামি আসন চিনেনা, নিষিদ্ধ প্রেমিক আসন চিনে। আমিই তোমাকে সাজিয়ে দিচ্ছি।
পৃথিবীর সবচেয়ে ভঙংকর এবং নিখুঁত সিরিয়াল কিলার টেড বান্ডি ও সব চিহ্ন গোপন রাখতে পারেনি।
৩৫টি সিরিয়াল খুনের পর সামান্য ভুলে ধরা পড়েছে। আর তুমিতো আমার প্রিয়তমা বধু। আর সেই প্রিয়তমা বঁধুর একটা পাসওয়ার্ড।
এ্যাড্রিয়ান ল্যামোর মতো দুর্ধর্ষ হ্যাকারের খুজঁ নিতে হয়নি, সামান্য ছিঁচকে হ্যাকারই আমার কাজটা করে দিয়েছে।
প্রহেলিকে আমি প্রাণভরে দেখি। স্বর্গীয় এক দেবী প্রতিমার আড়ালে কি ভয়ঙকর পাপি, নিষিদ্ধ প্রেমিকা লুকিয়ে আছে।
এই অন্তরীক্ষ পাপঅগ্নি নটরাগ্গীদের মতো শুয়ে আছে বিছানায়। যাকে আমি আপন করে পোষছিলাম।
প্রহেলিকা-মানে ফাক।"- বাহঃ ফাক, ফাক, ফাক। আজকেই জানলাম।
আমার বিবাহিতা বউ আরেক পূরুষের ফাকবাডি। আফটার ২১ কিসেস দেন আনলিমিটেড এ্যাকসেস টু বুবস। কি ম্যাথমেটিকাল লাভ।
কিচেনের ধারালো বটিকে, আমি আরো ধার করি। সুতীক্ষ্ন ধার।বটি চিক চিক করে জ্বলছে।বটি থেকে কোটি কোটি নরককীট যেন বিজলির মতো বের হচ্ছে।
জীবনের শেষ ঘুম ঘুমাও প্রিয়তমা।
মৃত তাজা প্রহেলি আমার প্রিয়তমা বঁধুর টুকরো টুকরো দেহ সুন্দর করে লাগেজের ভিতর আমি সাজিয়ে রাখি।
দুটো সুডৌল বুবসকে আমি ২১খন্ডে ভাগ করি। এবার দেখি লাগেজ বেশ ভারি হয়ে গেছে। এতো ভারি লাগেজ টেনে নিয়ে সিঁড়ি ঘরে রাখতে পারবোনা।
আমি আরো দুটো লাগেজ নামাই। শাড়ী কাপড়, ব্লাউজ, ব্রা, গহনা দিয়ে সাজাই। রক্তের সমস্ত দাগ নিঁখূতভাবে সাঙগ করি।
তারপর তিনটা আলাদা লাগেজ আরো নিঁখুত ভাবে সাজিয়ে সিঁড়ি ঘরের পাশে রাখি।
এরপর , আমি আবারো কম্পিউটার অন করি। মাথায় হেডফোন লাগিয়ে গান শুনি- টিনা টারনারের গান-
I've been taking on a new direction
But I have to say
I've been thinking about my own protection
It scares me to feel this way
গানের লাইনগুলো মগজের ভিতর ঢুকে যাচ্ছে। আমার কল্পনার গোলাপের বাগান হৃদয়ের ভিতর মাইলের পর মাইল ছড়িয়ে আছে।
যে বাগানের প্রতিটি গোলাপেই আমি প্রহেলিকার খুশবু খুঁজেছিলাম।
হ্যালো, তুমি কই। ফেসবুকে ম্যাসেজ দেই।
কোনো রিপ্লাই আসেনা। আমি অপেক্ষা করি, অপেক্ষা করি।
এরপর মোবাইল থেকে ম্যাসেজ আসে- আসছি জানু পাখি। এই এক মিনিটের মাঝেই আসছি।
শোনো। লাগেজ তিনটা হয়েছে। সিঁড়ির পাশেই আছে। সিন্দুক খুলে দেখি অনেক গহনা। অনেক দামী দামি শাড়ি কাপড়।
নানা পারফিউম। যা পারি সব নিয়ে নিলাম। তুমি লাগেজ গুলো নিয়ে গাড়ীতে রাখো আমি আসছি।
কিছুক্ষন পর ম্যাসেজ আসে-
লাগেজ ওঠানো শেষ। তুমি কই তাড়াতাড়ি আসো। কতক্ষন হলো গাড়ীতে বসে আছি।কতবার ফোন দিলাম । ফোন ধরোনা কেন?
জানপাখি, একটা সমস্যা হয়েছে। ও ঘুম থেকে ওঠে গেছে। তাই ফোনে কথা বলতে পারছিনা।
আমাকে বিছানায় না দেখলে যেকোনো সময় এই রুমে আসতে পারে। তুমি এক কাজ করো। গাড়ি নিয়ে বাসায় চলে যাও। আমি ওকে ঘুম পাড়িয়ে আসছি।
ফেসবুক থেকে আমি লগ আউট হই। লাউড স্পিকারে টিনা টার্নার বাজতে থাকে-
I've been taking on a new direction
But I have to say
I've been thinking about my own protection
It scares me to feel this way ।
( প্রহেলিকা অক্ষ - মামুন অক্ষ )
চোখে আমার তোমার নেশা, শ্বাসে আমার তোমার নেশা, সারা দেহে তোমার নেশা রগে রগে তোমার নেশা, শরীরে আমার তুমি বহ, তোমায় পান করে নেশা নিয়ে সুখ করি । জ্ঞান হারাই, হই মাতাল !
Showing posts with label অক্ষ. Show all posts
Showing posts with label অক্ষ. Show all posts
-যে জলে আগুন জ্বলে
-যে জলে আগুন জ্বলে
আমার জীবন ভালোবাসাহীন গেলে
কলঙ্ক হবে কলঙ্ক হবে তোর,
খুব সামান্য হৃদয়ের ঋণ পেলে
বেদনাকে নিয়ে সচ্ছলতার ঘর
বাঁধবো নিমেষে। শর্তবিহীন হাত
গচ্ছিত রেখে লাজুক দু’হাতে আমি
কাটাবো উজাড় যুগলবন্দী হাত
অযুত স্বপ্নে। শুনেছি জীবন দামী,
একবার আসে, তাকে ভালোবেসে যদি
অমার্জনীয় অপরাধ হয় হোক,
ইতিহাস দেবে অমরতা নিরবধি
আয় মেয়ে গড়ি চারু আনন্দলোক।
দেখবো দেখাবো পরস্পরকে খুলে
যতো সুখ আর দুঃখের সব দাগ,
আয় না পাষাণী একবার পথ ভুলে
পরীক্ষা হোক কার কতো অনুরাগ।
তুই কি আমার দুঃখ হবি?
তুই কি আমার দুঃখ হবি?
---সংকলিত
তুই কি আমার দুঃখ হবি?
এই আমি এক উড়নচণ্ডী আউলা বাউল
রুখো চুলে পথের ধুলো
চোখের নীচে কালো ছায়া।
সেইখানে তুই রাত বিরেতে স্পর্শ দিবি।
তুই কি আমার দুঃখ হবি?
তুই কি আমার শুষ্ক চোখে অশ্রু হবি?
মধ্যরাতে বেজে ওঠা টেলিফোনের ধ্বনি হবি?
তুই কি আমার খাঁ খাঁ দুপুর
নির্জনতা ভেঙে দিয়ে
ডাকপিয়নের নিষ্ঠ হাতে
ক্রমাগত নড়তে থাকা দরজাময় কড়া হবি?
একটি নীলাভ এনভেলাপে পুড়ে রাখা
কেমন যেন বিষাদ হবি?
তুই কি আমার শুন্য বুকে
দীর্ঘশ্বাসের বকুল হবি?
নরম হাতের ছোঁয়া হবি?
একটুখানি কষ্ট দিবি?
প্রতীক্ষার এই দীর্ঘ হলুদ বিকেল বেলায়
কথা দিয়েও না রাখা এক কথা হবি?
একটুখানি কষ্ট দিবি?
তুই কি একা আমার হবি?
তুই কি আমার একান্ত এক দুঃখ হবি?
ভালোবাসার কবিতা লিখবো না
ভালোবাসার কবিতা লিখবো না
---সংকলিত
‘তোমাকে ভালোবাসি তাই ভালোবাসার কবিতা লিখিনি।
আমার ভালোবাসা ছাড়া আর কোনো কবিতা সফল হয়নি,
আমার এক ফোঁটা হাহাকার থেকে এক লক্ষ কোটি
ভালোবাসার কবিতার জন্ম হয়েছে।
আমার ভালোবাসা ছাড়া আর কোনো কবিতা সফল হয়নি,
আমার এক ফোঁটা হাহাকার থেকে এক লক্ষ কোটি
ভালোবাসার কবিতার জন্ম হয়েছে।
আমার একাকীত্বের এক শতাংশ হাতে নিয়ে
তুমি আমার ভালোবাসার মুকুট পরেছো মাথায়!
আমাকে শোষণের নামে তৈরি করেছো আত্মরক্ষার মৃন্ময়ী যৌবন।
বলো বলো হে ম্লান মেয়ে,এতো স্পর্ধা কেন তোমার?
তুমি আমার ভালোবাসার মুকুট পরেছো মাথায়!
আমাকে শোষণের নামে তৈরি করেছো আত্মরক্ষার মৃন্ময়ী যৌবন।
বলো বলো হে ম্লান মেয়ে,এতো স্পর্ধা কেন তোমার?
ভালোবাসার ঔরসে আমার জন্ম! অহংকার আমার জননী!
তুমি আমার কাছে নতজানু হও,তুমি ছাড়া আমি
আর কোনো ভূগোল জানি না,
আর কোনো ইতিহাস কোথাও পড়িনি!
তুমি আমার কাছে নতজানু হও,তুমি ছাড়া আমি
আর কোনো ভূগোল জানি না,
আর কোনো ইতিহাস কোথাও পড়িনি!
আমার একা থাকার পাশে তোমার একাকার হাহাকার নিয়ে দাঁড়াও!
হে মেয়ে ম্লান মেয়ে তুমি তোমার হাহাকার নিয়ে দাঁড়াও!
হে মেয়ে ম্লান মেয়ে তুমি তোমার হাহাকার নিয়ে দাঁড়াও!
আমার অপার করুণার মধ্যে তোমারও বিস্তৃতি!
তুমি কোন্ দুঃসাহসে তবে
আমার স্বীকৃতি চাও,হে ম্লান মেয়ে আমার স্বীকৃতি চাও কেন?
তোমার মূর্খতা ক্ষমার অযোগ্য অপরাধে,পৃথিবীটা পুড়ে যাবে
হেলেনের গ্রীস হবে পুনর্বার আমার কবিতা!
এই ভয়ে প্রতিশোধস্পৃহায়
আজো আমি ভালোবাসার কবিতা লিখিনি
কোনোদিন ভালোবাসার কবিতা লিখিনি।
তুমি কোন্ দুঃসাহসে তবে
আমার স্বীকৃতি চাও,হে ম্লান মেয়ে আমার স্বীকৃতি চাও কেন?
তোমার মূর্খতা ক্ষমার অযোগ্য অপরাধে,পৃথিবীটা পুড়ে যাবে
হেলেনের গ্রীস হবে পুনর্বার আমার কবিতা!
এই ভয়ে প্রতিশোধস্পৃহায়
আজো আমি ভালোবাসার কবিতা লিখিনি
কোনোদিন ভালোবাসার কবিতা লিখিনি।
হে মেয়ে হে ম্লান মেয়ে তোমাকে ভালোবাসি তাই
ভালোবাসার কবিতা আমি কোনোদিন কখনো লিখবো না!’
ভালোবাসার কবিতা আমি কোনোদিন কখনো লিখবো না!’
ইচ্ছে ছিলো
ইচ্ছে ছিলো
--যে জলে আগুন জ্বলে
ইচ্ছে ছিলো তোমাকে সম্রাজ্ঞী করে সাম্রাজ্য বাড়াবো
ইচ্ছে ছিলো তোমাকেই সুখের পতাকা করে
শান্তির কপোত করে হৃদয়ে উড়াবো।
ইচ্ছে ছিলো সুনিপূণ মেকআপ-ম্যানের মতো
সূর্যালোকে কেবল সাজাবো তিমিরের সারাবেলা
পৌরুষের প্রেম দিয়ে তোমাকে বাজাবো, আহা তুমুল বাজাবো।
ইচ্ছে ছিলো নদীর বক্ষ থেকে জলে জলে শব্দ তুলে
রাখবো তোমার লাজুক চঞ্চুতে,
জন্মাবধি আমার শীতল চোখ
তাপ নেবে তোমার দু’চোখে।
ইচ্ছে ছিল রাজা হবো
তোমাকে সাম্রাজ্ঞী করে সাম্রাজ্য বাড়াবো,
আজ দেখি রাজ্য আছে
রাজা আছে
ইচ্ছে আছে,
শুধু তুমি অন্য ঘরে।
তোমাকে পারিনি ছুঁতে
দূরে আছো দূরে
----সংকলিত
তোমাকে পারিনি ছুঁতে, তোমার তোমাকে-
উষ্ণ দেহ ছেনে ছেনে কুড়িয়েছি সুখ,
পরস্পর খুড়ে খুড়ে নিভৃতি খুঁজেছি।
তোমার তোমাকে আমি ছুঁতে পারি নাই।
যেভাবে ঝিনুক খুলে মুক্ত খোঁজে লোকে
আমাকে খুলেই তুমি পেয়েছো অসুখ,
পেয়েছো কিনারাহীন আগুনের নদী।
শরীরের তীব্রতম গভীর উল্লাসে
তোমার চোখের ভাষা বিস্ময়ে পড়েছি-
তোমার তোমাকে আমি ছুঁতে পারি নাই।
জীবনের ’পরে রাখা বিশ্বাসের হাত
কখন শিথিল হয়ে ঝ’রে গেছে পাতা।
কখন হৃদয় ফেলে হৃদপিন্ড ছুঁয়ে
বোসে আছি উদাসীন আনন্দ মেলায়-
তোমাকে পারিনি ছুঁতে-আমার তোমাকে,
ক্ষাপাটে গ্রীবাজ যেন, নীল পটভূমি
তছ নছ কোরে গেছি শান্ত আকাশের।
অঝোর বৃষ্টিতে আমি ভিজিয়েছি হিয়া-
তোমার তোমাকে আমি ছুঁতে পারি নাই।।
অভিমান
অভিমান
---সংকলিত
কাছে যতটুকু পেরেছি আসতে, জেনো
দূরে যেতে আমি তারো চেয়ে বেশী পারি।
ভালোবাসা আমি যতটা নিয়েছি লুফে
তারো চেয়ে পারি গোগ্রাসে নিতে ভালোবাসা হীনতাও।
জন্মের দায়, প্রতিভার পাপ নিয়ে
নিত্য নিয়ত পাথর সরিয়ে হাঁটি।
অতল নিষেধে ডুবতে ডুবতে ভাসি,
আমার কে আছে একা আমি ছাড়া আর ?
ফিরে এসো
ফিরে এসো
--কিছুক্ষণ থাকো
কোনও একদিন ফিরে এসো, যে কোনও একদিন, যেদিন খুশি
আমি কোনও দিন দিচ্ছি না, কোনও সময় বলে দিচ্ছি না, যে কোনও সময়।
তুমি ফিরে না এলে এই যে কী করে কাটাচ্ছি দিন
কী সব কাণ্ড করছি,
কোথায় গেলাম, কী দেখলাম
কী ভালো লেগেছে, কী না লেগেছে — কাকে বলবো!
তুমি ফিরে এলে বলবো বলে আমি সব গল্পগুলো রেখে দিচ্ছি।
চোখের পুকুরটা সেচে সেচে খালি করে দিচ্ছি, তুমি ফিরে এলে যেন
এই জগৎসংসারে দুঃখ বলে কিছু না থাকে।
তুমি ফিরে আসবে বলে বেঁচে আছি, বেঁচে থেকে যেখানেই যা কিছু সুন্দর পাচ্ছি,
দেখে রাখছি, তুমি এলেই সব যেন তোমাকে দেখাতে পারি।
যে কোনও একদিন ফিরে এসো, ভর দুপুরে হোক, মধ্যরাত্তিরে হোক —
তোমার ফিরে আসার চেয়ে সুন্দর এই পৃথিবীতে আর কিছু নেই।
বিশ্ব ব্রম্মাণ্ডের সমস্ত সুন্দর জড়ো করলেও
তোমার এক ফিরে আসার সুন্দরের সমান হবে না।
ফিরে এসো,
যখন খুশি।
নাও যদি ইচ্ছে করে ফিরে আসতে,
তবু একদিন এসো, আমার জন্যই না হয় এসো,
আমি চাইছি বলে এসো,
আমি খুব বেশি চাইছি বলে।
আমি কিছু চাইলে কখনও তো তুমি না দিয়ে থাকোনি !
আমি তুমুল প্রেমে পড়েছি
--কিছুক্ষণ থাকো
আমি তুমুল প্রেমে পড়েছি তোমার,
শুনছো, শুনতে পাচ্ছে!?
এমন প্রেমে অনেককাল আমি পড়িনি
এমন করে কেউ আমাকে অনেককাল আচ্ছন্ন করে রাখেনি।
এমন করে আমার দিনগুলোর হাত পা রাতের পেটে সেঁধিয়ে যায়নি
এমন করে রাতগুলো ছটফট করে মরেনি!
গভীর ঘুম থেকে টেনে আমাকে তুমি বসিয়ে দিলে–
এভাবে কি হয় নাকি?
আমি হাত বাড়াবো আর এখন তোমাকে পাবো না, রাতের পর রাত পাবো না!
আমি ঘুমোবো না, একফোঁটা ঘুমোবো না,
কোথাও যাবো না, কিছু শুনবো না, কাউকে কিছু বলবো না,
স্নান করবো না, খাবো না!
শুধু ভাববো তোমাকে, ভাবতে ভাবতে যা কিছুই করিনা কেন,
সেগুলো ঠিক করা হয়না–
ভাবতে ভাবতে আমি বই পড়ছি, আসলে কিন্তু পড়ছি না,
বইয়ের অক্ষরে চোখ বুলোনো ঠিকই হবে, পড়া হবে না
ভাবতে ভাবতে আমি সেন্ট্রাল স্কোয়ারে যাচ্ছি, যাচ্ছি কিন্তু যাচ্ছি না,
ঘণ্টা দুই আগে পেরিয়ে গেছি স্কোয়ার, আমি কিন্তু হাঁটছিই,
কিছুই জানি না কী পেরোচ্ছি, কোথায় পৌঁচোচ্ছি,
এর নাম হাঁটা নয়, কোথাও যাওয়া নয়,
এ অন্য কিছু, এ কারও তুমুল প্রেমে পড়া।
কিছু একটা করো, স্পর্শ করো আমাকে, চুমু খাও
শুধু ঠোঁটে নয়, সারা শরীরে চুমু খাও, তুমুল চুমু খাও
অত দূরে অমন করে বসে থেকো না, উড়ে চলে এসো, উড়ে এসে চুমু খাও।
আমার ঠোঁটজোড়া ঠাণ্ডায় পাথর হয়ে আছে, তোমার উষ্ণতা কিছু দাও,
তুমি তো আগুন, আমার অমল অনল, এসো তোমাকে তাপাবো,
তোমাকে তাপাতে দাও।
শুনছো,
তুমুল প্রেমে তুমিও পড়ো না গো!
তোমার কী
তোমার কী !
--কিছুক্ষণ থাকো
বলেছিলে জিনস পরে যেন না ঘুমোই
জিনস পরেই কিন্তু ঘুমোচ্ছি,
ইচ্ছে করেই খুলে রাখছি না।
কেন রাখবো?
আমার যদি ত্বকে অসুখ হয়, সে আমার হবে,
তোমার কী!
তুমি তো আমাকে আর ভালোবাসো না যে আমার কিছু একটা মন্দ হলে তুমি কষ্ট পাবে!
হোক না অসুখ, হোক।
এ প্রেম নয়
এ প্রেম নয়
--কিছুক্ষণ থাকো
সারাক্ষণ তোমাকে মনে পড়ে
তোমাকে সারাক্ষণ মনে পড়ে
মনে পড়ে সারাক্ষণ।
তুমি বলবে আমি ভালোবাসি তোমাকে, তাই।
কিন্তু এর নাম কি ভালোবাসা?
নিতান্তই ভালোবাসা? যে ভালোবাসা হাটে মাঠে না চাইতেই মেলে!
ভালো তো আমি বাসিই কত কাউকে, এরকম তো মরে যাই মরে যাই লাগে না!
এ নিশ্চয় ভালোবাসার চেয়ে বেশি কিছু, বড় কিছু।
তোমার কথাগুলো, হাসিগুলো আমাকে এত উষ্ণ করে তোলে যেন
হিমাগারে শুয়ে থাকা আমি চোখ খুলছি, শ্বাস নিচ্ছি।
বলবে, আমি প্রেমে পড়েছি তোমার।
কিন্তু প্রেমে তো জীবনে আমি কতই পড়েছি,
কই কখনও তো মনে হয়নি কারও শুধু কথা শুনেই, হাসি শুনেই
বাকি জীবন সুখে কাটিয়ে দেব, আর কিছুর দরকার নেই!
এ নিশ্চয়ই প্রেম নয়, এ প্রেম নয়, এ প্রেমের চেয়ে বড় কিছু, বেশি কিছু।
তোমার জন্য
তোমার জন্য
--কিছুক্ষণ থাকো
আমি ঘুম থেকে জেগে উঠছি, তোমার জন্য উঠছি,
শুয়ে আছি অনেকক্ষণ বিছানায়, তোমার জন্য,
মনে মনে আমি তুমি হয়ে আমাকে দেখছি,
তুমি আমাকে এরকম শুয়ে থাকতে দেখতে পছন্দ করছো হয়ত,
শুয়ে থেকে তোমাকে ভাবছি, তোমাকে কাছে চাইছি,
হয়ত তুমি পছন্দ করছো আমি যে ভাবছি, আমি যে চাইছি।
উঠে চা করে আনছি,
তোমার দেখতে ভালো লাগবে যে আমি চায়ে চুমুক দিচ্ছি, তাই দিচ্ছি।
স্নান করছি, তোমার জন্য করছি।
তুমি হয়ে আমার নগ্ন শরীরে আমি তাকিয়ে আছি,
যে পোশাকে আমাকে মানায় মনে করো, সে পোশাক পরছি,
গান গাইছি, যে রকম গাইলে তুমি বিহ্বল হও,
হাসছি, যে ভাবে হাসলে তুমি হাসো,
দিনের কাজগুলো প্রতিদিন আধখেঁচড়া থেকে যাচ্ছে, মন নেই কোথাও,
দিনকে ঠেলে পাঠাতে থাকি দ্রুত রাতের দিকে, রাত পার করছি যেন রাত নয়,
ভয়ঙ্কর একটি সাঁকো দৌড়ে পেরোচ্ছি।
আমি দিন পার করছি কোনওরকম কাটিয়ে না কাটিয়ে
সব এড়িয়ে পেরিয়ে সেই সময়ের কাছে পৌঁছতে চাইছি, যে সময়টিতে তুমি আসবে।
আমি বেঁচে আছি তোমার জন্য, তোমার সঙ্গে দেখা হবে বলে একদিন।
ভুল প্রেমে কেটে গেছে তিরিশ বসন্ত
ভুল প্রেমে কেটে গেছে তিরিশ বসন্ত
--সংকলিত
ভুল প্রেমে কেটে গেছে তিরিশ বসন্ত, তবু
এখনো কেমন যেন হৃদয় টাটায়-
প্রতারক নারীরা এখনো আঙুল ছুঁলে
পাথর শরীর বয়ে ঝরনার জল ঝরে।
এখনো কেমন যেন কল কল শব্দ শুনি
নির্জন বৈশাখে, মাঘ-চৈত্রে-
ভুল প্রেমে কেটে গেছে তিরিশ বসন্ত, তবু
বিশ্বাসের রোদে পুড়ে নিজেকে অঙ্গার করি।
প্রতারক নারীরা একবার ডাকলেই
ভুলে যাই পেছনের সজল ভৈরবী
ভুলে যাই মেঘলা আকাশ, না-ফুরানো দীর্ঘ রাত।
একবার ডাকলেই
সব ভুলে পা বাড়াই নতুন ভুলের দিকে
একবার ভালোবাসলেই
সব ভুলে কেঁদে উঠি অমল বালিকা।
ভুল প্রেমে তিরিশ বছর গেল
সহস্র বছর যাবে আরো,
তবু বোধ হবে না নির্বোধ বালকের।
অন্য প্রজাপতি
অন্য প্রজাপতি
একটা সময় যে স্থান ছিল শুধু আমার,
আজ নির্দ্বিধায় সেখানে জুড়ে বসেছে অন্য প্রজাপতি,
তাকে নিয়ে মেতেছে চক্ষুকর্ণ তোমার,
তাই দেওয়া হয়নি পুরোনো ভালোবাসার পরিণতি।
বেকসুর খালাস পেয়েছি আমরা দুজনেই-
বন্ধনের কারাগার থেকে বেরিয়েছি অনেক আগেই,
তবু কোথায় আটকে আছে ছেঁড়া সুতোখানি সেই,
যা কেবল আমি হাতড়ে বেড়াই,
একাই, একাই!
আজ নির্দ্বিধায় সেখানে জুড়ে বসেছে অন্য প্রজাপতি,
তাকে নিয়ে মেতেছে চক্ষুকর্ণ তোমার,
তাই দেওয়া হয়নি পুরোনো ভালোবাসার পরিণতি।
বেকসুর খালাস পেয়েছি আমরা দুজনেই-
বন্ধনের কারাগার থেকে বেরিয়েছি অনেক আগেই,
তবু কোথায় আটকে আছে ছেঁড়া সুতোখানি সেই,
যা কেবল আমি হাতড়ে বেড়াই,
একাই, একাই!
আলোকবর্ষ দূরে
আলোকবর্ষ দূরে
মানুষ কতো সহজেই দূরে সরে যায়
যে ঠোঁট একদিন চুমুতে ভরেছিল
সেই ঠোঁটই আবার ঘৃণায় কুঁচকায়!
মানুষের তবুও হুঁশ কি হয়?
ইগোর নিষ্পেষণে চাপাপড়া প্রেম
দুহাত তুলে শুধু বাঁচার আকুতি জানায়,
অভিমান-রাগ-দুঃখ এসে কেবল
একের পর এক লাইন করে দাঁড়ায়।
মাঝখানে পড়ে থাকে নীরব স্মৃতি এক রাতের
রিকশার পাশে চলতে থাকা হলদে এক চাঁদের।
দুইজোড়া চোখ, দুইজোড়া হাত ছিল সে রাতে;
মাথার ভেতরে সেই স্পর্শ আর সেই গন্ধ- এখনো কেন যে একা একা মাতে!
ঘ্রাণ বড়োই নির্মম; সে মস্তিস্ক ছাড়ে না
মানুষটাকে ছেড়ে আসতে হয় শুধু।
হৃদয়ের বেদন হৃদয়ে কেন বোঝে না?
আকণ্ঠ পিপাসায় কেবলি করে ধু ধু।
যে ঠোঁট একদিন চুমুতে ভরেছিল
সেই ঠোঁটই আবার ঘৃণায় কুঁচকায়!
মানুষের তবুও হুঁশ কি হয়?
ইগোর নিষ্পেষণে চাপাপড়া প্রেম
দুহাত তুলে শুধু বাঁচার আকুতি জানায়,
অভিমান-রাগ-দুঃখ এসে কেবল
একের পর এক লাইন করে দাঁড়ায়।
মাঝখানে পড়ে থাকে নীরব স্মৃতি এক রাতের
রিকশার পাশে চলতে থাকা হলদে এক চাঁদের।
দুইজোড়া চোখ, দুইজোড়া হাত ছিল সে রাতে;
মাথার ভেতরে সেই স্পর্শ আর সেই গন্ধ- এখনো কেন যে একা একা মাতে!
ঘ্রাণ বড়োই নির্মম; সে মস্তিস্ক ছাড়ে না
মানুষটাকে ছেড়ে আসতে হয় শুধু।
হৃদয়ের বেদন হৃদয়ে কেন বোঝে না?
আকণ্ঠ পিপাসায় কেবলি করে ধু ধু।
আমায় মৃত্যু দে
আমায় মৃত্যু দে
আর কিছুনা শুধু ওই ঠোঁটটা আমাকে দে
তোর সময় আর সময়ের ফাঁকে থাকা
টুকরো মুহুর্তটা আমায় দে।
আর যদি কিছু নিতে হয় তবে আমার তৃষ্ণা নে
আর যদি ইচ্ছে করে
তবে আমায় ভিজিয়ে দে।
কৃষ্ণচুড়ার মুকুটে লেগে লাল রক্ত
বিছানায় পাতা শুকনো ফুলগুলো
আমি তো আছি তোর রক্তে।
শুধু সময় রয়েছে পরে শিরায় উপশিরায়
পথের উপরে এঁকেবেঁকে এক নদী
এক ইচ্ছা সারা শরীরে।
কোনো এক সমুদ্র প্রান্তরে দাঁড়িয়ে
চিত্কার করি তোর নাম মুখে।
আরো জোরে গলা চিরে যায়
রক্ত বেরোয় ,বদ রক্ত প্রেমের।
তবুও ,তবুও শান্তি নেই
আরো গভীরে তোমায় চাই।
আর কিছুনা শুধু একটা শান্তি দে
গোলাপের পাতা স্বপ্নে কাঁটা ফোঁটে।
কিছুটা অলক্ষ্যে কেটে যাওয়া সময়
চলে যায় তোর সাথে।
কিছু মুহূর্ত হাতছানি দেয় ক্লান্ত চোখে
একটু সময় আমায় মৃত্যু দে।
আর কিছুনা শুধু ওই ঠোঁটটা আমাকে দে
তোর সময় আর সময়ের ফাঁকে থাকা
টুকরো মুহুর্তটা আমায় দে।
আর যদি কিছু নিতে হয় তবে আমার তৃষ্ণা নে
আর যদি ইচ্ছে করে
তবে আমায় ভিজিয়ে দে।
কৃষ্ণচুড়ার মুকুটে লেগে লাল রক্ত
বিছানায় পাতা শুকনো ফুলগুলো
আমি তো আছি তোর রক্তে।
শুধু সময় রয়েছে পরে শিরায় উপশিরায়
পথের উপরে এঁকেবেঁকে এক নদী
এক ইচ্ছা সারা শরীরে।
কোনো এক সমুদ্র প্রান্তরে দাঁড়িয়ে
চিত্কার করি তোর নাম মুখে।
আরো জোরে গলা চিরে যায়
রক্ত বেরোয় ,বদ রক্ত প্রেমের।
তবুও ,তবুও শান্তি নেই
আরো গভীরে তোমায় চাই।
আর কিছুনা শুধু একটা শান্তি দে
গোলাপের পাতা স্বপ্নে কাঁটা ফোঁটে।
কিছুটা অলক্ষ্যে কেটে যাওয়া সময়
চলে যায় তোর সাথে।
কিছু মুহূর্ত হাতছানি দেয় ক্লান্ত চোখে
একটু সময় আমায় মৃত্যু দে।
অামি নেই তো কি হয়েছে
অামি নেই তো কি হয়েছে
আমি নেই তো কি হয়েছে,
এখনও তো আগেরই মতই
সবকিছু তোমার নিয়মমাফিক,
তোমার উঠানে এখনো আগের মতোই
রোদ উঠে, বর্ষা আসে, হেমন্ত, বসন্ত,
শরতের শুভ্রতা,
আমি জানি তোমাকে স্পর্শ করেনা
আমার শূণ্যতা।
আমি নেই তো কি হয়েছে ।
তোমার তো কোন কিছুই হারায়নি
হৃদয় নড়ে উঠেনি,
আমি জানি স্মৃতি পোড়ানোর
বেদনা তোমার নেই,
তোমার জীবনে এখনো আসে
সময়ের সব প্রয়োজন,
তোমার জীবনে অষ্টপ্রহর
বর্ণীল আয়োজন।
আমি নেই তো কি হয়েছে ।
আমি তো ছিলাম তোমার কাছে
মূল্যহীনের মতো,
তোমার জীবনে এখনো আসে
পূর্ণিমা, জোছনা, শরতের
তারা ভরা আকাশ,
আমি জানি তোমার হৃদয় ছোঁবেনা
আমার ব্যাকুল দীর্ঘশ্বাস।
আমি নেই তো কি হয়েছে ।
আমি নেই তো কি হয়েছে,
এখনও তো আগেরই মতই
সবকিছু তোমার নিয়মমাফিক,
তোমার উঠানে এখনো আগের মতোই
রোদ উঠে, বর্ষা আসে, হেমন্ত, বসন্ত,
শরতের শুভ্রতা,
আমি জানি তোমাকে স্পর্শ করেনা
আমার শূণ্যতা।
আমি নেই তো কি হয়েছে ।
তোমার তো কোন কিছুই হারায়নি
হৃদয় নড়ে উঠেনি,
আমি জানি স্মৃতি পোড়ানোর
বেদনা তোমার নেই,
তোমার জীবনে এখনো আসে
সময়ের সব প্রয়োজন,
তোমার জীবনে অষ্টপ্রহর
বর্ণীল আয়োজন।
আমি নেই তো কি হয়েছে ।
আমি তো ছিলাম তোমার কাছে
মূল্যহীনের মতো,
তোমার জীবনে এখনো আসে
পূর্ণিমা, জোছনা, শরতের
তারা ভরা আকাশ,
আমি জানি তোমার হৃদয় ছোঁবেনা
আমার ব্যাকুল দীর্ঘশ্বাস।
আমি নেই তো কি হয়েছে ।
জন্মদিনের কবিতা
জন্মদিনের কবিতা ১
আঁধার ভেঙ্গে সূর্য হাঁসে
বিশ্বভুবন আলোয় ভাসে।
পাখ-পাখালি ধরল গান
নদীর বুকে ওই কলতান।
তরতরিয়ে চলল তরী
মহাসাগর দেবো পাড়ি।
তরু শাঁখায় লাগলো দোল
চল বন্ধু চল জলকে চল।
খুশিতে মন তা ধিন ধিন
আজ যে তোমার জন্মদিন!
জন্মদিনের কবিতা ২
আজকেরই এই দিনে
সবকিছু হউক নতুন করে,
সুখের স্মৃতিটুক থাক কাছে
দু:খগুলো যাক দুরে।
জড়া জীর্ণ অতীতটাকে
রেখোনা আর মনে
নব উদ্দমে কাজ করো
নতুন এই দিনে।
জন্মদিনের কবিতা ৩
প্রত্যুষ আলো পড়েছে চোখে
চোখ মেলে তাকাও,
আগামী আজ ডেকেছে তোমায়
হাত বাড়িয়ে দাও !
জীবন হোক ছন্দময়
স্বপ্নগুলো রঙিন,
ভালোবাসায় ভরে উঠুক
তোমার জন্মদিন !
জন্মদিনের কবিতা ৪
জন্মদিন, শুভ জন্মদিন !!
ফুলেরা ফুটেছে হাসি মুখে
বাড়ছে ভ্রমরের গুঞ্জন,
পাখিরাও গাইছে নতুন সুরে
জানাতে তোমায় অভিনন্দন !
নদীতে বইছে খুশির জোয়ার
বাতাসে সুবাসিত কলরব,
তোমাকে নিয়েই মাতামাতি আজ
তোমার জন্যই সব !
জীবনে হও অনেক বড়
পৃথিবীকে করো ঋণী,
গাইবে সবাই তোমার জয়গান
রাখবে মনে চিরদিনি।
জীবন হোক ছন্দময়
স্বপ্নগুলো রঙিন,
ভালোবাসায় ভরে উঠুক
তোমার জন্মদিন !
জন্মদিন শুভ জন্মদিন !!
জন্মদিনের কবিতা ৫
ভোরে উঠেই ভোমড়া তাড়া-
কাজের চাপে দিশে হারা;
নেই ফুরানো দম-
দিনটা তবু অন্যরকম।
ক্লাশের ফাঁকে চুমুক কাপে-
ক্ষণ আড্ডায় সময় মাপে;
আনমনা কি মন?
আসছে বুঝি কোন মধুক্ষণ।
আকাশ নীলে উঁকি মারা-
মনটা যেন ছন্নছাড়া;
মনের কোনায় স্মৃতি-
ভাঙছে নিয়ম নীতি।
জন্মদিনের এই দিনে আজ
চঞ্চলা মন ষোড়ষী সাজ;
বাঁধন কাটার সুর-
দিচ্ছে উড়াল দূর।
নিজের মতো নিজের কাজে
কষ্ট অনেক, দুঃখ মাঝে;
লাগুক ছটা আলোয় -
মন্দ কাটুক ভালোয়।
দুর চিঠিতে সুবাস পাঠাই
ভালো থেকো এই আমি চাই।
তোমার জন্মদিনের-
বাজুক বাঁশী বীণের।
জন্মদিনের কবিতা ৬
আজকের আকাশে অনেক তারা,দিন ছিল সূর্যে ভরা।
আজকের জোসনাটা আরো সুন্দর,সন্ধ্যাটা আগুন লাগা।
আজকের পৃথিবী তোমার জন্য,ভরে থাকা ভাল লাগা।
মুখরিত হবে দিন গানে গানে,আগামীর সম্ভাবনা।
তুমি এই দিনে পৃথিবীতে এসেছো শুভেচ্ছা তোমায়,
তাই অনাগত খন হোক আরো সুন্দর উজ্জল দিন কামনায়।
আজ জন্মদিন তোমার...... !
তোমার জন্য এই রোদেলা স্বপ্ন সকাল,
তোমার জন্য হাসা স্নিগ্ধ বিকেল।
ভালবাসা নিয়ে নিজে তুমি,ভালবাস সব সৃষ্টিকে।
তুমি এই দিনে পৃথিবীতে এসেছো শুভেচ্ছা তোমায়,
তাই অনাগত খন হোক আরো সুন্দর উজ্জল দিন কামনায়।
আজ জন্মদিন তোমার...... !
তোমার জন্য ফুটে পৃথিবীর সব গোলাপ,
তোমার জন্য এই কবিতা নয় সে প্রলাপ।
আলোকিত হয়ে নিজে তুমি আলোকিত কর পৃথিবীকে।
তুমি এই দিনে পৃথিবীতে এসেছো শুভেচ্ছা তোমায়,
তাই অনাগত খন হোক আরো সুন্দর উজ্জল দিন কামনায়।
আজ জন্মদিন তোমার...... !
জন্মদিনের কবিতা ৭
কুড়িটি বছর আগে এসেছিলে এই ভুবনে!
যেদিন তোমার সাথে হল পরিচয়,
সেদিন থেকেই আজকের দিন আমার জীবনে,
জানি না কেন ভীষণ আপন মনে হয়!
শুভ হোক তোমার দিন, ভালবাসা দিলাম উপহার
এই দূর থেকে মেঘের সাথে ভেসে,
তোমার হৃদয়ের গভীরে যাবে মিশে।
যদিও আমি নেই দৃষ্টির সীমানায় তোমার!
তোমাকে আচমকা অবাক করতে পারব না
পারবনা সন্ধ্যার মৃদু আলোতে,বুকে জড়িয়ে বলতে,
হে প্রিয়, শুভ হোক তোমার জন্মদিন।
আকাংখা পূর্ণতা পেল না।
জন্মদিনের কবিতা ৮
খোলে দাও ২৬ বছর ধরে বন্ধ থাকা সকল জানালা,
আলো আসতে দাও, বয়ে যাও তোমার সাধনার তরী।
ভয় নেই তোমার, আমি রয়েছি দাড়িয়ে সদর দরজায়
হয়ে তোমার অতন্দ্র প্রহরী।
রয়েছি আমি কঠোর পাহারায় তোমার দরজায় ,
বন্ধ করেছি কষ্ট আসার সব অজানা পথ।
প্রতিনিয়ত তুমি বাচবে বাচার মত করে ,
কেউ ছুতে পারবেনা তোমাকে, রয়েছি আমি দশরথ।
কষ্টের যত শির আজও বেচে আছে ধরনীতে ,
সব শিরের আজ নত হবে মাথা।
প্রমান করে দাও তুমি শুধুই বাস্তব তুমি,
নয় কোনো গল্প উপন্যাসের রচিত কথা।
অন্ধকারে আর নয়, আলো আজ চারদিকে,
শেষ হয়ে গেছে দুঃখের সব ঋণ।
দুবাইয়ের মরুভমির মাঝে দাড়িয়ে বলছি অস্পস্ট স্বরে ,
বয়ে যাও মাঝি শুভ হোক তোমার জন্মদিন।
জন্মদিনের কবিতা ৯
রবির কিরণে উঠল বেজে নূতন বীণাখানি
টঙ্কারে তার প্রতিধ্বনি
তোমার জীবন বানী!
জন্মদিনের শুভক্ষণে রইলো মোদের আশা
আসছে বছর আবার দেবো
উজাড় ভালোবাসা।
জন্মদিনের কবিতা ১০
আসুক ফিরে এমন দিন
হোক না তোমা সব রঙিন
জনম জনমের তরে,
তোমার এই শুভ জন্মদিনে
বারে বারে পড়ছে মনে
যতই থাকি না দুরে।।
আঁধার ভেঙ্গে সূর্য হাঁসে
বিশ্বভুবন আলোয় ভাসে।
পাখ-পাখালি ধরল গান
নদীর বুকে ওই কলতান।
তরতরিয়ে চলল তরী
মহাসাগর দেবো পাড়ি।
তরু শাঁখায় লাগলো দোল
চল বন্ধু চল জলকে চল।
খুশিতে মন তা ধিন ধিন
আজ যে তোমার জন্মদিন!
জন্মদিনের কবিতা ২
আজকেরই এই দিনে
সবকিছু হউক নতুন করে,
সুখের স্মৃতিটুক থাক কাছে
দু:খগুলো যাক দুরে।
জড়া জীর্ণ অতীতটাকে
রেখোনা আর মনে
নব উদ্দমে কাজ করো
নতুন এই দিনে।
জন্মদিনের কবিতা ৩
প্রত্যুষ আলো পড়েছে চোখে
চোখ মেলে তাকাও,
আগামী আজ ডেকেছে তোমায়
হাত বাড়িয়ে দাও !
জীবন হোক ছন্দময়
স্বপ্নগুলো রঙিন,
ভালোবাসায় ভরে উঠুক
তোমার জন্মদিন !
জন্মদিনের কবিতা ৪
জন্মদিন, শুভ জন্মদিন !!
ফুলেরা ফুটেছে হাসি মুখে
বাড়ছে ভ্রমরের গুঞ্জন,
পাখিরাও গাইছে নতুন সুরে
জানাতে তোমায় অভিনন্দন !
নদীতে বইছে খুশির জোয়ার
বাতাসে সুবাসিত কলরব,
তোমাকে নিয়েই মাতামাতি আজ
তোমার জন্যই সব !
জীবনে হও অনেক বড়
পৃথিবীকে করো ঋণী,
গাইবে সবাই তোমার জয়গান
রাখবে মনে চিরদিনি।
জীবন হোক ছন্দময়
স্বপ্নগুলো রঙিন,
ভালোবাসায় ভরে উঠুক
তোমার জন্মদিন !
জন্মদিন শুভ জন্মদিন !!
জন্মদিনের কবিতা ৫
ভোরে উঠেই ভোমড়া তাড়া-
কাজের চাপে দিশে হারা;
নেই ফুরানো দম-
দিনটা তবু অন্যরকম।
ক্লাশের ফাঁকে চুমুক কাপে-
ক্ষণ আড্ডায় সময় মাপে;
আনমনা কি মন?
আসছে বুঝি কোন মধুক্ষণ।
আকাশ নীলে উঁকি মারা-
মনটা যেন ছন্নছাড়া;
মনের কোনায় স্মৃতি-
ভাঙছে নিয়ম নীতি।
জন্মদিনের এই দিনে আজ
চঞ্চলা মন ষোড়ষী সাজ;
বাঁধন কাটার সুর-
দিচ্ছে উড়াল দূর।
নিজের মতো নিজের কাজে
কষ্ট অনেক, দুঃখ মাঝে;
লাগুক ছটা আলোয় -
মন্দ কাটুক ভালোয়।
দুর চিঠিতে সুবাস পাঠাই
ভালো থেকো এই আমি চাই।
তোমার জন্মদিনের-
বাজুক বাঁশী বীণের।
জন্মদিনের কবিতা ৬
আজকের আকাশে অনেক তারা,দিন ছিল সূর্যে ভরা।
আজকের জোসনাটা আরো সুন্দর,সন্ধ্যাটা আগুন লাগা।
আজকের পৃথিবী তোমার জন্য,ভরে থাকা ভাল লাগা।
মুখরিত হবে দিন গানে গানে,আগামীর সম্ভাবনা।
তুমি এই দিনে পৃথিবীতে এসেছো শুভেচ্ছা তোমায়,
তাই অনাগত খন হোক আরো সুন্দর উজ্জল দিন কামনায়।
আজ জন্মদিন তোমার...... !
তোমার জন্য এই রোদেলা স্বপ্ন সকাল,
তোমার জন্য হাসা স্নিগ্ধ বিকেল।
ভালবাসা নিয়ে নিজে তুমি,ভালবাস সব সৃষ্টিকে।
তুমি এই দিনে পৃথিবীতে এসেছো শুভেচ্ছা তোমায়,
তাই অনাগত খন হোক আরো সুন্দর উজ্জল দিন কামনায়।
আজ জন্মদিন তোমার...... !
তোমার জন্য ফুটে পৃথিবীর সব গোলাপ,
তোমার জন্য এই কবিতা নয় সে প্রলাপ।
আলোকিত হয়ে নিজে তুমি আলোকিত কর পৃথিবীকে।
তুমি এই দিনে পৃথিবীতে এসেছো শুভেচ্ছা তোমায়,
তাই অনাগত খন হোক আরো সুন্দর উজ্জল দিন কামনায়।
আজ জন্মদিন তোমার...... !
জন্মদিনের কবিতা ৭
কুড়িটি বছর আগে এসেছিলে এই ভুবনে!
যেদিন তোমার সাথে হল পরিচয়,
সেদিন থেকেই আজকের দিন আমার জীবনে,
জানি না কেন ভীষণ আপন মনে হয়!
শুভ হোক তোমার দিন, ভালবাসা দিলাম উপহার
এই দূর থেকে মেঘের সাথে ভেসে,
তোমার হৃদয়ের গভীরে যাবে মিশে।
যদিও আমি নেই দৃষ্টির সীমানায় তোমার!
তোমাকে আচমকা অবাক করতে পারব না
পারবনা সন্ধ্যার মৃদু আলোতে,বুকে জড়িয়ে বলতে,
হে প্রিয়, শুভ হোক তোমার জন্মদিন।
আকাংখা পূর্ণতা পেল না।
জন্মদিনের কবিতা ৮
খোলে দাও ২৬ বছর ধরে বন্ধ থাকা সকল জানালা,
আলো আসতে দাও, বয়ে যাও তোমার সাধনার তরী।
ভয় নেই তোমার, আমি রয়েছি দাড়িয়ে সদর দরজায়
হয়ে তোমার অতন্দ্র প্রহরী।
রয়েছি আমি কঠোর পাহারায় তোমার দরজায় ,
বন্ধ করেছি কষ্ট আসার সব অজানা পথ।
প্রতিনিয়ত তুমি বাচবে বাচার মত করে ,
কেউ ছুতে পারবেনা তোমাকে, রয়েছি আমি দশরথ।
কষ্টের যত শির আজও বেচে আছে ধরনীতে ,
সব শিরের আজ নত হবে মাথা।
প্রমান করে দাও তুমি শুধুই বাস্তব তুমি,
নয় কোনো গল্প উপন্যাসের রচিত কথা।
অন্ধকারে আর নয়, আলো আজ চারদিকে,
শেষ হয়ে গেছে দুঃখের সব ঋণ।
দুবাইয়ের মরুভমির মাঝে দাড়িয়ে বলছি অস্পস্ট স্বরে ,
বয়ে যাও মাঝি শুভ হোক তোমার জন্মদিন।
জন্মদিনের কবিতা ৯
রবির কিরণে উঠল বেজে নূতন বীণাখানি
টঙ্কারে তার প্রতিধ্বনি
তোমার জীবন বানী!
জন্মদিনের শুভক্ষণে রইলো মোদের আশা
আসছে বছর আবার দেবো
উজাড় ভালোবাসা।
জন্মদিনের কবিতা ১০
আসুক ফিরে এমন দিন
হোক না তোমা সব রঙিন
জনম জনমের তরে,
তোমার এই শুভ জন্মদিনে
বারে বারে পড়ছে মনে
যতই থাকি না দুরে।।
"আমার যে টুকু আছে "
"আমার যে টুকু আছে "
চাওয়ার কিছুই নাই তোমার থেকে,
তুমি ভালোবাসো আর নাই বাসো
আমার বুকে যে টুকু প্রেম আছে তা দিয়েই দিব্যি চলে যাবে-
এক জন্ম নয় সাত জন্ম!
তুমি আর কিছু নাই দাও
দিও ব্যথার দান দিও জ্বালা
আমি তাই দিয়ে ফুল ফুটায়ে গাথিব মালা-
তুমি ঘৃণার নরক জ্বেল সাতশত
আমি প্রেম বর্ষণে ভিজাবো নিভাবো
তোমারে সাজাবো আমরই ছবির মতো,
আমারই মতো মানিয়ে নেবো
স্নিগ্ধ জোস্তনায় স্নান করিয়ে
হেঁটে যাবো দূর বহুদূর মেঠোপথে
পল্লীর মায়ায়-ঘুমজাগা অশ্বথের ভূতুরে ছায়ায় -
কয়েকটি জোনাক ফুল পরিয়ে দেবো তোমার নোটন খোপায়,
শোনাবো ঘুম জাগা কোনো কৃষাণ বধূর গান
ঢেকির তালে ঝুমকো দুলে
সেই সুরে খোসা ছাড়া আতপচালের নতুন কুড়ায়
ভোরের বেলা ভাপা পিঠায়
দেখবে কি সুঘ্রান!
তোমায় আমি জীবন দেখাবো,
তুমি আমায় ভালো নাই বাসো -
একদিন তোমারে নিয়ে যাবো সেই খানে
যে খানে আছে জীবনের আহ্বান!
চাওয়ার কিছুই নাই তোমার থেকে,
তুমি ভালোবাসো আর নাই বাসো
আমার বুকে যে টুকু প্রেম আছে তা দিয়েই দিব্যি চলে যাবে-
এক জন্ম নয় সাত জন্ম!
তুমি আর কিছু নাই দাও
দিও ব্যথার দান দিও জ্বালা
আমি তাই দিয়ে ফুল ফুটায়ে গাথিব মালা-
তুমি ঘৃণার নরক জ্বেল সাতশত
আমি প্রেম বর্ষণে ভিজাবো নিভাবো
তোমারে সাজাবো আমরই ছবির মতো,
আমারই মতো মানিয়ে নেবো
স্নিগ্ধ জোস্তনায় স্নান করিয়ে
হেঁটে যাবো দূর বহুদূর মেঠোপথে
পল্লীর মায়ায়-ঘুমজাগা অশ্বথের ভূতুরে ছায়ায় -
কয়েকটি জোনাক ফুল পরিয়ে দেবো তোমার নোটন খোপায়,
শোনাবো ঘুম জাগা কোনো কৃষাণ বধূর গান
ঢেকির তালে ঝুমকো দুলে
সেই সুরে খোসা ছাড়া আতপচালের নতুন কুড়ায়
ভোরের বেলা ভাপা পিঠায়
দেখবে কি সুঘ্রান!
তোমায় আমি জীবন দেখাবো,
তুমি আমায় ভালো নাই বাসো -
একদিন তোমারে নিয়ে যাবো সেই খানে
যে খানে আছে জীবনের আহ্বান!
ইচ্ছে
ইচ্ছে
ইচ্ছে ছিল ভালোবাসার ঊষালগ্নে
তোমার হাত ধরে বের হব,
মেঘের পিঠে চড়ে
আকাশটা ঘুড়ে দেখবো।
হলোনা তা আমার !!!
ইচ্ছে ছিল তোমার হাতটি ধরে
পাড়িদেব জীবনের বাকিটা সময়।
এই সময়ের মাঝে আমি যে
আজ বড় অসহায়।
ইচ্ছে ছিলো তোমার আলোয়
আলোকিত হয়ে রাঙিয়ে দেব ধরনী।
বুঝতে পারিনি আমি হব
এ ধরনীর বুকে এক ছায়া মূর্তি।
ইচ্ছে ছিলো আমার বুকে
তোমায় নিয়ে গুনবো রাতের তারা।
বুঝিনি তারা গুনতে গিয়ে
আমি হব যে দিশেহারা।
ইচ্ছে ছিলো, ইচ্ছে আছে, ইচ্ছে থাকবে।
আমিও ছিলাম, আছি, থাকবো।
শুধু ভালোবাসাটা হয়ে গেছে আজ
" ইচ্ছের ভালোবাসা "।।।
কবে তা আমার ভালোবাসা হবে
শুধু সেই প্রতীক্ষা।।।
শুধু তোমার অপেক্ষা।।।
ইচ্ছে ছিল ভালোবাসার ঊষালগ্নে
তোমার হাত ধরে বের হব,
মেঘের পিঠে চড়ে
আকাশটা ঘুড়ে দেখবো।
হলোনা তা আমার !!!
ইচ্ছে ছিল তোমার হাতটি ধরে
পাড়িদেব জীবনের বাকিটা সময়।
এই সময়ের মাঝে আমি যে
আজ বড় অসহায়।
ইচ্ছে ছিলো তোমার আলোয়
আলোকিত হয়ে রাঙিয়ে দেব ধরনী।
বুঝতে পারিনি আমি হব
এ ধরনীর বুকে এক ছায়া মূর্তি।
ইচ্ছে ছিলো আমার বুকে
তোমায় নিয়ে গুনবো রাতের তারা।
বুঝিনি তারা গুনতে গিয়ে
আমি হব যে দিশেহারা।
ইচ্ছে ছিলো, ইচ্ছে আছে, ইচ্ছে থাকবে।
আমিও ছিলাম, আছি, থাকবো।
শুধু ভালোবাসাটা হয়ে গেছে আজ
" ইচ্ছের ভালোবাসা "।।।
কবে তা আমার ভালোবাসা হবে
শুধু সেই প্রতীক্ষা।।।
শুধু তোমার অপেক্ষা।।।
Subscribe to:
Posts (Atom)
HINDI PROPOSE SHAYARI SMS
HINDI PROPOSE SHAYARI Dil ye mera Tumse Pyar karna chahta hai, Apni Mohabbat ka izhaar karna chahta hai, Dekha hai jab se Tumhe aey me...
-
পরকিয়া প্রেম - প্রহেলিকা প্রহেলিকা, প্রহেলি, প্রাণ পাখি, জান, জানু পাখি, কলিজা, জানু, জানু, কই , কই , তুমি কই , কই জানু পাখি, জানু আমার ,...
-
Lovesick_Psycho -অক্ষ --------------- --------------- -------------- মেয়েটার নগ্ন দেহটা পড়ে আছে । স্তন দুটো থেকে চুইয়ে চুইয়ে রক্ত পড়ছে । ওষ্...
-
আমায় মৃত্যু দে আর কিছুনা শুধু ওই ঠোঁটটা আমাকে দে তোর সময় আর সময়ের ফাঁকে থাকা টুকরো মুহুর্তটা আমায় দে। আর যদি কিছু নিতে হয় তবে আমার তৃ...