প্রাণের প্রিয়তমেষূ,
কেমন
আছ
তুমি?
তোমাকে
‘তুমি’
বলে
সম্বোধন
করলাম
বলে
কিছু
মনে
করো
না।
জানি
ভদ্রতার
অনুরোধে
অপরিচিত
মানুষকে
‘আপনি”
বলে
সম্বোধন
করটাই
নিয়ম।
আসলে
কী
জান,
এদিন
তোমার
কথা
এত
বেশি
ভেবেছি
যে
তোমাকে
আর
অপরিচিত
কেঊ
বলে
মনে
হল
না।
যাকে
মনে
স্থান
দিয়েছি,
অন্তরের
অন্তঃস্থলে
আপন
করে
নিয়েছি
তাকে
সামন্য
ভদ্রতার
খাতিরে
‘আপনি’
বলতে
মন
কিছুতে
সায়
দিচ্ছে
না।
কয়েকবার
তোমাদের
ওখান
দিয়ে
যাওয়ার
সময়
রাস্তায়
তোমাকে
দেখে
খুব
ভাল
লেগে
যায়
আমার।
তারপর
থেকে
কিছুতেই
ভুলতে
পারছিলাম
না।
তাই
ভাবলাম
ব্যাথায়
নীলকন্ঠ
হওয়ার
চেয়ে
চিঠি
লিখে
সব
জানাই
তোমাকে।
তাছাড়া
আজ-কালকের
পরিবেশটাও
কেমন
জানি
– অভিমানী
মেয়ের
মত
আকাশটা
সারাদিন
মান-মেঘময় কুয়াশাচ্ছন্ন ।
আকাশের
কুয়াশা আর আর
মনের
কুয়াশার মধ্যে মনে
হয়
একটা
বৈপরীত্য
আছে।
বাইরের
আকাশে
কুয়াশা
পড়তে শুরু করলে
মনের
আকাশের
কুয়াশা কোথায় জানি
উধাও
হতে
শুরু
করে।
তার
বদলে
মনের
ভিতরের
অদ্ভুৎ
একটা
রোমান্টিকতা
এসে
ভর
করে।
তখন
প্রিয়
মানুষটাকে
মনের
না-
বলা
সব
কথা
ধুম
করে
বলে
ফেলতে
ইচ্ছে
করে।
সেই
ইচ্ছের
অনুরোধেই
এই
চিঠি
লেখা।
তোমাকে
চিঠি
লিখতে
গিয়ে
পড়লাম
মহা
সমস্যায়
– কী
বলে
সম্বোধন
করব,
কী
দিয়ে
শুরু
করব,
কী
দিয়ে
শেষ
করব,
কীভাবে
মনের
ভিতরে
গুমরে
মরা
কথাগুলো
তোমাকে
জানাব,
কী
ঊপমা
ব্যবহার
করে
তোমার
চেহারার
অপার্থিব
সৌন্দর্য্যকে
বর্ণনা
করব
কিছুতেই
বুঝে
উঠতে
পারছিলাম
না।
অনেক
বই,
অভিধান
ঘাটাঘাটি
করেও
মনের
মতন
শব্দ
খুঁজে
পেলাম
না।
অথচ
আগে
সেগুলো
পায়ে
পায়ে
হামাগুড়ি
দিত
– আজ
আমার
প্রয়োজনের
সময়
লুকোচুরি
খেলতে
শুরু
করেছে।
খুঁজতে
খুঁজতে
হঠাৎ
রবি
ঠাকুরের
দু;টি
লাইনে
চোখ
আটকে
গেল।
রবীন্দ্রনাথ
লিখেছেন
–
“মুখের
পানে
চাহিনু
অনিমেষে
/ বাজিল
বুকে
সুখের
মত
ব্যথা......”।
প্রাচীন
কবি-সাহিত্যকরা
হাস্যকর
ভঙ্গিতে
মেয়েদের
রুপ
বর্ণনা
করেছেন
– কমলার
মত
ঠোঁট,
ইন্দুঁরের
দাঁতের
মত
দাঁত,
বাঁশের
কঞ্চির
মত
নাক......।
মতো
মতো
করে
সৌন্দর্য্যের
ব্যাখ্যা
করা
যায়
না।সব
সৌন্দর্য্যের
ব্যাখ্যাতীত
কিছু
ব্যাপার
থাকে।
রবীন্দ্রনাথ
ব্যাপারটা
বুঝেছিলেন
বলেই
ব্যাখ্যায়
না
গিয়ে
বলেছেন
, “বাজিল
বুকে
সুখের
মত
ব্যথা......”।
তোমাকে
প্রথম
দেখে
আমার
মনেও
এক
ব্যাখ্যাতীত
অনুভূতি
হয়েছিল।
তোমাকে
দেখেই
বুঝেছি
কবি-
সাহিত্যকরা
যত
উপমাই
সৃষ্টি
করুক
না
কেন,
কোনটাই
ব্যবহার
করে
তোমার
রুপের
পরিপূর্ণ
মহিমা
বুঝানো
যাবে
না।
আরও
বুঝেছি
বহূ
ব্যবহার
করা
কোন
উপমায়
কিংবা
অহোরাত্র
চর্চিত
শব্দের
ফেনায়
তোমার
তুলনা
খুঁজা
পন্ডশ্রম।
একটা
গান
আমার
খুব
প্রিয়,
“চোখ
ফেরানো
যায়
ওগো
মন
ফেরানো
যায়
না
/ বল
কী
করে
রাখি
ঢেকে
মনে
খোলা
আয়না?”
এ
গানটা
অনেকবার
শুনলেও
এ
গানটার
কথাগুলো
যে
কতটা
সত্য
তা
বুঝতে
পেরেছি
ঐদিন।
রাস্তায়
যাওয়ার
সময়
তোমাকে
দেখছিলাম,
আমার
দু’টি
চোখ
নির্লজ্জ্বের
মতো
খালি
তোমার
দিকেই
তাকিয়ে
ছিল।
অনেক
শাষণ
করে
আমার
অবাধ্য
চোখ
দু’টিকে
সরিয়ে
রেখেছিলাম।
চোখ
সরিয়ে
রাখলেও
আমার
অবুঝ
মনটাকে
সরিয়ে
রাখতে
পারিনি।
সে
মন
জুড়ে
সারাক্ষণ
ছিলে
তুমি,
ছিল
তোমার
ভাবনা।
“আমার
এমন
কাছে
__ অঘ্রানের
এত
বড়
আকূল
আকাশে
আর
কাকে
পাব
বল
এই
সহজ
গভীর
অনায়াসে............”।
জীবনে
এর
আগে
কোনদিন
প্রেমে
পড়ি
নি,
তাই
প্রেমে
পড়ার
অনুভুতি
কেমন
হয়
তা
আমার
জানা
নেই।
হাজার
চেষ্টা
করেও
তোমার
কথা
কিছুতেই
ভুলতে
পারছি
না
– ঊঠতে,
বসতে,
খেতে,
শুতে
সব
সময়
তুমি
জুড়ে
থাক
আমার
মন।
গান
শুনা,
বই
পড়া
– কিছুই
ভাল
লাগে
না।
ভাল
লাগে
শুধু
তোমার
কথা
ভাবতে।
সত্যি
কথা
বলতে
কি,
আমার
এত
বছরের
জীবনে
যত
বড়
বড়
ঘটনা
ঘটেছে
তার
সবকিছু
লিলিপুটের
মত
ছোট
হয়ে
গেছে
তোমার
অস্তিত্বের
সামনে।
আচ্ছা
এটাই
কী
প্রেম?
আমি
জানি
না।
তুমি
জান
কী?
সবটুকু
হয়তো
বুঝতে
পারিনি।
সেটা
আমার
ব্যর্থতা,
যা
কোন
শাব্দিক
উচ্চারণে
প্রকাশ
করা
যায়
না।
কিংবা
প্রকাশ
করা
যায়
না
কোন
বিলাপে।
তা
কেবল
অনুভূতির;
কেবল
উপলব্দির।
এসো চলে যাই দূর পাহাড়ে, যেখানে আমি আর তুমি,নাহ তুমি আর আমি।
সময় এসেছে আমার চলে যাবার,এবার আর ফিরবো না,
চলে যাব ঠিক তোমার আত্মার কাছে,আত্মার সাথে আত্মার কথা হবে।
চলে যাব ঠিক তোমার আত্মার কাছে,আত্মার সাথে আত্মার কথা হবে।