প্রাণের প্রিয়তমেষূ,
কি বলে শুরু করব বুঝতে পারছি না।
প্রথম যেদিন তোমাকে দেখলাম ভিতরটা কেমন যেনো কেঁপে উঠলো। কি করে এর বিশ্লেষণ দিবো বুঝতে পারছি না। জানো তোমাকে যতবার দেখি ভিতরটা কেমন যেনো কেঁপে উঠে। একটু দেখার জন্য মনটা ছটফট করে। তাহসানের “বিন্দু” গানের কয়েক লাইন খুব বেশি মনে হচ্ছে। “ভেবে ছিলাম নিজেকে স্রোতের বিপরীতে একজন” আসলেই তাই। এমনটা কখনো হবে ভাবিনি।
আগে কখনো স্বপ্ন দেখতাম না। কিন্তু যেদিন থেকে তোমাকে ভালবাসলাম, সে দিন থেকেই হয়ত আমার স্বপ্ন দেখা শুরু। দিনে দিনে ছোট্ট ছোট্ট স্বপ্ন গুলো মিলে এক বিশাল সাম্রাজ্য তৈরি করছে। সেই বিশাল সাম্রাজ্য জুড়ে থাকবে শুধু তুমি। তুমি হবে আমার রানী। সেই সাম্রাজ্যের এক পাশে বিশাল সমুদ্র, এক পাশে দৃষ্টির সীমানা জুড়ে লাল গোলাপের বাগান. . আর আমাদের জড়িয়ে থাকবে অন্তহীন নীল আকাশ। কখনো হাত ধরে রক্ত লাল ফুলেদের মাঝ দিয়ে হেটে যাব। সন্ধে বেলায় তোমায় বুকে জড়িয়ে ধরে বিশাল সমুদ্রের মাঝে সূর্যটাকে বিদায় জানাব। তুমি অপলক দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে থাকবে। আমি তোমার এভাবে তাকিয়ে থাকা দেখে হেসে ফেলব। তুমি সেই হাসি দেখে একটু লজ্জ্বা পেয়ে যাবে। আমি তখন আলতো করে তোমার চোখের সামনে নুয়ে আসা চুল গুলো সরিয়ে দিব. . আগে কখনো স্বপ্ন দেখা হতো না। আর এখন এক মুহূর্তের জন্য স্বপ্ন দেখা থামাতে পারিনা। এখন আর আমার এক মুহূর্তের জন্য একা থাকা হয় না।
মনে হয় যেন প্রতিটা মুহূর্ত তুমি সাথে আছো। আচ্ছা, ছোট্ট একটা প্রশ্ন করি? কাউকে ভালোবাসা কি পাপ না অন্যায় না অপরাধ না নিষেধ?আমি তোমাকে ভালোবাসি–তোমার দৃষ্টিকোণ থেকে এটা কি?নিশ্চয় অন্যায়? পাপ ও হতে পারে?তাই না? কথাগুলো তোমার সামনে দাঁড়িয়ে বলা উচিৎ ছিল। কিন্তু আমি তোমার সামনে যেতে পারি না। বড্ড ভয় লাগে। তোমাকে দেখলে অনেকটা এলোমেলো হয়ে যাই। কথা বলার ভাষা হারিয়ে ফেলি।কেন এমনটা হয় বুঝি না। এটাই বুঝি ভালোবাসা,এটাই বুঝি প্রেম।”
একটা মেয়েকে কিভাবে প্রেম নিবেদন করতে হয় সেটা আমার জানা নেই।তবে এটা জানি,আমি তোমাকে অসম্ভব ভালোবাসি।আমার সুর্যের আলোর মত নিরপেক্ষ।কিন্তু আমি তোমাকে তা বুঝাতে পারি না।আমি যে এমনি। আর্টসেল এর দুঃখবিলাস গানটার মতো বলতে ইচ্ছে করছে …আমি বড় অসহায় অন্য পথের একটি নাটকই দেখি মহাকালের মঞ্ছে। আজকাল বর অদ্ভুত আচরন হচ্ছে । আমি সারা রাত জেগে থাকি। একদিন বিছানায় শুয়ে আছি মনে হচ্ছে তুমি মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছো। ঘুম চলে আসল। এমন ঘুম আমি আর কখনো ঘুমাই নেই। একটি কথাও বানিয়ে বলছি না। তোমার সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলতে পারি না তাই ভিতরের সব কষ্ট আনন্দ গুলো লিখে দিচ্ছি। জানিনা ভালোবাসবে কিনা! তুবুও আমি তোমাকে ভালোবেশে যাব। কল্পনার রাজ্যে। সেটাতো আর বাধা দিতে পারবে না। এই পাগলের জন্য ভালোবাসা তোমার মনে জন্মাবে কি না জানি না। ভালো থেকেও। সব সময় হাসিখুশি থাকবা। হাসলে তোমাকে ভালই লাগে। জানিনা এই অক্ষ এর কি পরিনতি হয়। আমি আছি থাকবো সবসময়। আরো অনেক কিছু লিখার ইচ্ছা ছিলো কিন্তু তুমি বিরক্ত না হও এই ভেবে আর লিখলাম না । তোমাকে উৎসর্গ করে একটা কবিতা দিয়ে শেষ করলাম ।
আমি লিখেছি সেই চিঠি
যার
প্রতিটি
অক্ষরে
শুধু
প্রেম
যার
প্রতিটি
শব্দে
এক
একটি
তীব্র
কামনা
যার
এক
একটি
বাক্যে
জ্বালাময়ী
বাসনা!!
আমি
লিখেছি
সেই
চিঠি,
যে
চিঠির
প্রতিটি
ভাজে
ভাজে
আমার
ছোঁয়া
তুমি
ছুঁয়েই,
আমার
গন্ধ
পাবে,
আমায়
ছুঁতে
পাবে
আমি
লিখেছিলাম,
আমি
আবারও
লিখব…
কেন
লিখব
জানো,
শুধু
পাওয়ার
জন্যে
আজকাল
মানুষ
গুলো
ভালোবাসার
জন্যে
হয়েছে
কতটা
হন্যে!
তুমি
কি
দেখ
নি,
চক্ষু
মেলে,
চিঠি
খুলে
একবার
পড়ে
নাও
এইতো,
এটাই
আমার
প্রেম
পত্র…
এটাই
আমার
ভালোবাসার
সূত্র!!
আমিই
তোমার
*অক্ষ*